ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করল বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ নির্মাণ কাজ শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করল। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে যাওয়া এই টানেল চট্টগ্রামের দুই প্রান্তকে সংযুক্ত করবে। আর এই টানেল নির্মাণের মাধ্যমে উপমহাদেশের বুকে এক ইতিহাস সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ।

শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের বোরিং কার্যক্রম এবং লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং প্রকল্পের ফলক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে এ টানেল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। টানেল নির্মাণে মহিউদ্দিন চৌধুরীর যুক্তি ছিল সেতু করা হলে নদীতে পলি জমবে। আজ তাকে স্মরণ করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, চীন বাংলাদেশের জন্য এ প্রকল্পে শতভাগ ঋণ সহায়তা দিয়েছে। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর এ টানেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এ টানেল আনোয়ারা উপজেলাকে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে যুক্ত করবে। ১০ কিলোমিটার সড়ক করা গেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চার লেন সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। এ টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামের গোটা অঞ্চল সমৃদ্ধশালী হবে। জিডিপিতে আরো অনেক অর্জন যোগ হবে। আমরা জিডিপি ডাবল ডিজিটে নিয়ে যাবো। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবো। মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছি। বাংলাদেশ বদ্বীপ। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ। আমাদের প্রজন্ম উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশে তা উদযাপন করবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। আরেকটি কাজ করে দিচ্ছি লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এটি পোর্ট সিটি। ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু এ জায়গা থেকে হয়। চট্টগ্রামে বিশাল আকারে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। শহরে যানজট কমানোর জন্য বাইপাস করে দিচ্ছি। টানেল নির্মাণ হলে চট্টগ্রামে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়ন হবে। কক্সবাজার পর্যটন শহর। যাতে পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠে সে লক্ষ্যে আলাদা কর্তৃপক্ষ করে দিয়েছি।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক যা যা বলেছে সব ভুয়া, বানোয়াট। কত যে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে তা আপনারা বুঝবেন না। আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। মামলায় বিশ্বব্যাংক কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।

পদ্মা সেতুর নামকরণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নাম চাই না। জীবনে কোনো কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। দেশের জন্য কাজ করতে এসেছি। আমার বাবা সারাটা জীবন এ দেশের জন্য কষ্ট করেছেন। আমার মাও কষ্ট করেছেন। তারা এদেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছেন। এ দেশের কোনো মানুষ গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি মানুষ শিক্ষা পাবে। এটা বাবা চাইতেন। আমরা রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচবে এ দেশের মানুষ। দুর্ভিক্ষের দেশ বলে বদনাম ছিল। বিশ্বের বিস্ময় হবে বাংলাদেশ। ৩০ লাখ শহীদের জীবনের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মানুষ জানতে পারছে।

উল্লেখ্য, মহানগরীর এবং মডেল শহর দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তির উদ্দেশ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে স্বপ্নের টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। টানেলটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩২ ভাগ এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে সরাসরি কক্সবাজারের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাসহ যাতায়াতের সময় অনেকাংশে কমে যাবে।