ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঈদের তারিখ যেভাবে চূড়ান্ত করে চাঁদ দেখা কমিটি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২১  

পবিত্র ঈদুল ফিতর কবে পালিত হবে, তা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে ঈদের দিন চূড়ান্ত হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। নিয়ম অনুযায়ী, ২৯ রমজান সন্ধ্যায় এ কমিটি বৈঠকে বসে।

চলতি বছরের ঈদুল ফিতর কবে, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ল‌ক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার বৈঠকে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এদিন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

কাল যদি দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায় তাহলে পরদিন ঈদের ঘোষণা দেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তবে চাঁদ দেখা না গেলে ৩০ রোজা শেষেই ঈদ হয়ে থাকে। তবে কখনও ৩১ রোজা রাখার সুযোগ নেই।

কীভাবে কাজ করে চাঁদ দেখা কমিটি?

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সূত্রমতে, চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ধর্মমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসবেন চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরা, যেখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করে থাকেন।

মূল চাঁদ দেখা কমিটির সঙ্গে একযোগে প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি কাজ করে। দেশের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে সেটি স্থানীয় প্রশাসন বা ইসলামিক ফাউন্ডেশন সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জেলা কমিটির কাছে পৌঁছায়। পরে জেলা প্রশাসন দ্রুত সেটি নিশ্চিত করে। পরে সে খবরটি যাচাই হয়ে জেলা কমিটি হয়ে কেন্দ্রীয় চাঁদ দেখা কমিটির হাতে পৌঁছায়।

জেলা কমিটি বিষয়টি বিভিন্নভাবে যাচাই করে থাকে। যেমন স্থানীয় অনেকে চাঁদ দেখেছে কি-না সেটা যাচাই করা হয়। সেক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ও ভালো দৃষ্টি শক্তিসম্পন্ন কাউকে চাঁদ দেখতে হবে। এছাগা স্থিরচিত্র বা ভিডিওচিত্র দ্রুত সংগ্রহ করে নিশ্চিত হয়ে থাকে স্থানীয় প্রশাসন। 

দেশজুড়ে আবহাওয়া অধিদফতরের ৭৪টি স্টেশন রয়েছে। সেখান থেকেও তথ্য নেয় চাঁদ দেখা কমিটি। যদি আবহাওয়া অনুকূল না থাকে অর্থাৎ খালি চোখে চাঁদ দেখার সুযোগ না থাকলে আবহাওয়া স্টেশন থেকে পাওয়া তথ্যও চাঁদ দেশের আকাশে উঠেছে কি-না তা নিশ্চিত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, সাধারণত চাঁদ উঠলে সেটি কোথাও না কোথাও দেখা যায়। সেটি খালি চোখে না দেখা গেলেও টেলিস্কোপে ধরা পড়বেই। আর সেটি দেখা মাত্রই আবহাওয়া বিভাগ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে থাকে।

অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি দাবি করে চাঁদ কবে দেখা যাবে সেটি আগে থেকেই জানা সম্ভব। তবে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের আলেমরা একমত হয়েছেন যে, দেশের ভূখণ্ডে চাঁদ দেখা গেলেই সে অনুযায়ী রোজা বা ঈদ হবে।