ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঈদের আগেই মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্ত

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২০  

ঈদের আগে নতুন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা অবশেষে কাটল। করোনা সঙ্কটের কারণে ঈদের আগেই সব জটিলতা কাটিয়ে মাদ্রাসার এক হাজার ৩৪৭ জন শিক্ষক কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত এমপিওর কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে নির্ধারিত সময়ে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে না পারা শিক্ষক-কর্মচারীদের ফের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ও এনটিআরসিএর সমন্বয়হীনতার কারণে বৈধভাবে নিয়োগ পেয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না ৩০০ শিক্ষক।

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাদ্রাসার এমপিওর কমিটির সভায় এক সভায় শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত মাদ্রাসাগুলোর এবং ইতোমধ্যেই এমপিওভুক্ত মাদ্রাসাগুলোতে বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।

এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৪৯৯ মাদ্রাসার মধ্যে ৩২৪টি দাখিল মাদ্রাসা, ১১৯টি আলিম মাদ্রাসা, ৩৪টি ফাযিল মাদ্রাসা ও ২২টি কামিল মাদ্রাসা আছে। প্রথম তালিকা থেকে ৩৪টি দাখিল মাদ্রাসা, ৯টি আলিম মাদ্রাসা, ৮টি ফাযিল মাদ্রাসা এবং ৭টি কামিল মাদাসা চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা গত বছরের ১ জুলাই থেকে বেতন ভাতা পাবেন। কোন প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে তার এমপিও স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সভা সূত্রে জানা গেছে, নতুন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার এক হাজার ৩৪৭ শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব শিক্ষকসহ পুরাতন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসাগুলোতে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী এবং জমা থাকা আবেদনের ভিত্তিতে মোট এক হাজার ৫৩৪ শিক্ষক কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর। এছাড়া ৪০ শিক্ষককে বিএড স্কেল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের যারা নির্ধারিত সময়ে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেননি, তাদের ফের এমপিওর আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। আগামী ২২ মে থেকে বাদপড়া স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের আবেদন আবারও গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ইএমআইএস সেলের সার্ভার জটিলতার কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেননি। সারাদেশ থেকে শিক্ষকরা বলছেন সার্ভার অচল, ডাউন থাকা এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্য আবেদন করা যাচ্ছিল না। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকদের। যে কোন সমস্যার জন্য হটলাইনে দেয়া নম্বরগুলোর বেশিরভাগ কলই কেউ রিসিভ করছেন না।

বিশ থেকে ত্রিশ বার কল করার পর রিসিভ করে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন কেউ কেউ। দ্বিতীয় দফায় আবেদন গ্রহণে যাতে এরকম জটিলতা না হয় সে বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শিক্ষকরা। তাই, আবার সেই শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোর শিক্ষকদের এমপিও আবেদন শুরু হবে ২২ মে থেকে। ৩১ মে পর্যন্ত নতুন এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকরা আবেদন করতে পারবেন। ৪ জুনের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এমপিওর আবেদনগুলো নিষ্পত্তি কথা বলা হয়েছে। ৮ জুনের মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। ১৫ জুনের মধ্যে এমপিও আবেদন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের।

অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা মেনে কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটে নিয়োগ পেয়েছেন, কিন্তু এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না ৩০০ শিক্ষক। জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ আট বছর ধরে এই পদের কোন সার্কুলার না দেয়ায় বিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেয়েও তারা এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। শিক্ষা অধিদফতর ও এনটিআরসিএর সমন্বয়হীনতায় এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকদের জন্য মাত্র দুটি ট্রেড আছে। একটি ইনস্ট্রাকটর (টেক) ও অপরটি হলো ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক)। ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত প্রতিবছর শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলারে শুধু ইনস্ট্রাকটর (টেক)-এর শিক্ষকদের জন্য নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু ছিল। এ কারণে শুধু ওই ট্রেডের শিক্ষকরা নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সুযোগ পেয়েছেন এমপিওভুক্ত হওয়ারও। কিন্তু কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) শিক্ষকদের জন্য ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এনটিআরসিএর শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার দেয়া হয়নি। এ কারণে ২০১১ সাল বা তার আগে থেকে নিয়মানুযায়ী বৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে তারা পাঠদান করে এলেও এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলারে কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের জন্য ইনস্ট্রাক্টর (টেক) ও ইনস্ট্রাক্টর(নন-টেক) উভয় পদেই এই প্রথমবারের মতো শিক্ষকদের জন্য নিবন্ধন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে কিন্তু লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা কোনটাই এখনও শেষ হয়নি।

শিক্ষকরা জানান, বাংলাদেশের কোথাও কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) শিক্ষকদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নেই। আমরা জেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে উপযুক্ত কোন সমাধান পাইনি। কোন কোন শিক্ষক কর্মকর্তা ধারণা করে ওই বিষয়ে কলেজ নিবন্ধন সনদ নিতে বলেছেন। কিন্তু কলেজ নিবন্ধন এসএসসির পর দুই বছরের কোর্স ও ভিন্ন সিলেবাস। তাই কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) পদে ২০১৮ সালের শিক্ষক নিবন্ধন চালু হওয়ার আগে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধন প্রযোজ্য হবে না মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারির জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষকরা।