ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলামে বিজয় দিবসের গুরুত্ব

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

‘বিজয়’ শব্দটি যদিও খুব ছোট, কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকে বিস্তর ইতিহাস। ত্যাগ-তিতিক্ষার, হাসি-কান্নার, আনন্দ-বেদনার এবং অর্জন-বর্জনের ইতিহাস। 
‘বিজয় দিবস’ শুধুই উদযাপনের নয়; তা হৃদয় দিয়ে আত্মোপলব্ধি করার। বিজয় দিবস নিয়ে রয়েছে ইসলামের ভাবনা।


 
ইসলাম বিজয় দিবস উদযাপনের বিরোধী নয়। বরং দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও বিজয় উদযাপন উপলক্ষে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করাই ইসলামের নির্দেশ। তাছাড়া প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হুব্বুল ওয়াত্বানে মিনাল ঈমান’ অর্থাৎ ‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।’ আর দেশপ্রেমের সঙ্গে স্বাধীনতা ও বিজয় এক সুতোঁয় গাঁথা।এ দিবস শুধুই উদযাপনের নয়; তা হৃদয় দিয়ে আত্মোপলব্ধি করার। বিজয় দিবস নিয়ে রয়েছে ইসলামের ভাবনা।

যদিও বর্তমান সময়ে অনেকেই মনে করেন যে, বিজয় দিবস উদযাপন মানেই ইসলামের অবমাননা। বিষয়টি তা নয়; কারণ বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূলুল্লাহ হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও বিজয় দিবস উদযাপন করেছিলেন।

তিনি ইসলাম প্রচারের কারণে নিজের মাতৃভূমি ত্যাগ করে হিজরত করেছিলেন মদিনায়। দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর সফলতার সঙ্গে নিজ দেশ স্বাধীন করেন। অর্জন করেন মহান স্বাধীনতা ও বিজয়।

হিজরতের সময় প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার বার অশ্রুসিক্ত নয়নে জন্মভূমির দিকে ফিরে ফিরে তাকিয়েছিলেন আর বলেছিলেন-

‘হে প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা! আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমার অধিবাসীরা যদি আমাকে অত্যাচার-নির্যাতন করে বিতাড়িত না করত; আমি তোমাকে কখনো ছেড়ে যেতাম না।’ তাঁর এ বুকফাঁটা আর্তনাদের অবসান হয়েছিল ১০ হিজরির মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে।

মক্কা বিজয়ের আনন্দে প্রথমেই তিনি ৮ রাকাআত নামাজ আদায় করেছিলেন। আর তিনি এত অধিক পরিমাণে আনন্দ লাভ করেছিলেন যা ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়।

তাইতো মক্কা বিজয়ের আনন্দে তিনি সেদিন ঘোষণা করেন, ‘যারা কাবা ঘরে আশ্রয় নেবে তারা নিরাপদ। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি মক্কার সম্ভ্রান্ত কয়েকটি পরিবারেও যারা আশ্রয় নেবে; তারা যত অত্যাচার নির্যাতনকারীই হোক তারাও নিরাপদ। এ ছিল প্রিয় নবী রাসূলুল্লাল্লাহ (সা.) এর মক্কা বিজয়ের আনন্দ উৎসব উদযাপন।