ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজব এক দ্বীপ!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮  

ইউরোপীয়দের আধিপত্যকালে আবিষ্কৃত হয় একটি দ্বীপ। নাম ট্রিসটান দি কুনা। ১৫০৬ সালে পর্তুগিজ নাবিকেরা প্রথমবারের মতো দ্বীপটির সন্ধান পায়। দ্বীপে গিয়ে তারা কাউকে পায়নি। পর্তুগিজ ট্রিসটাও দি কুনা তার নামেই দ্বীপটির নাম রাখেন। তিনি কখনো আশা করেননি এই দ্বীপটিতে আবারো কেউ ফিরবে, এখানে বসতি গড়া তো দূরের কথা। কারণ দ্বীপটি যে খুব বিচ্ছিন্ন শুধু তাই নয়, দ্বীপটিতে ছিলো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।

 

1.আজব এক দ্বীপ!

কয়েক শতাব্দী পরে ইংরেজরা এই দ্বীপে আসে। সেখানে তারা দোকানপাট খুলে ও জায়গাটিতে লোক বসতি গড়ে উঠার উপযোগী করে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো দ্বীপটি নিজেদের দখলে নিয়ে যুদ্ধের সময় তা থেকে নিজেদের নৌ সৈন্যদের পরিচালনা করা। সেটি তারা নিজদের যুদ্ধের ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করে যাতে করে ফরাসি বা মার্কিনরা দ্বীপো নিজদের করে নিতে না পারে।

 

2.আজব এক দ্বীপ!

দ্বীপটির অবস্থান  বসতি

ভৌগলিকভাবে দ্বীপটির অবস্থান আটলান্টিক মহাসাগরের ঠিক মাঝে।পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে দ্বীপটিতে পৌছাতে প্রায় ২০ দিনের মতো লাগে। ট্রিসটান দি কুনাকে শুধু দ্বীপ না বলে আগ্নেয় দ্বীপ বলা উচিত।কারণ দ্বীপটি পুরোটাই এক আগ্নেয়গিরির উপর অবস্থিত। এই দ্বীপটির সৃষ্টিই হয়েছে মূলত আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের জন্য। এই অগ্নুৎপাতের জন্যই দ্বীপটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উপরে উঠে এসেছে। দ্বীপটির উত্তর-পশ্চিম উপকূলের সামান্য অংশ ছাড়া পুরো দ্বীপটিই পাহাড়ে ঘেরা।

 

3.আজব এক দ্বীপ!

দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯৮ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে সেখানে মাত্র আড়াইশজন মানুষ বসবাস করছে। ছোট্ট গ্রামটিতে একসময় এডিনবড়ার ডিউক ঘুরতে এসেছিলেন। যিনি ছিলেন মহারাণী ভিক্টোরিয়ার পুত্র। তখন থেকেই দ্বীপটির নাম এডিনবড়া অব সেভেন সীজ। আটলান্টিক মহাসাগরের ঠিক মাঝামাঝি অবস্থিত হওয়ার জন্য দ্বীপটি খুবই ঝড়প্রবণ এবং উচ্চ বায়ুগতি সম্পন্ন অঞ্চল। এই দ্বীপের একমাত্র বসতি এডিনবড়া অব সেভেন সীজে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রামের সকলের মধ্যেই খুব ভালো বন্ধন বিদ্যমান।সকলেই একটি পরিবারের মতো বাস করেন এই ট্রিসটান দি কুনা দ্বীপটিতে।

 

4.আজব এক দ্বীপ!

এই গ্রামের মানুষেরা মুদ্রা হিসেবে ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যবহার করেন। এডিনবড়া অব সেভেন সীজ গ্রাম থেকে সামান্য ঢালুতে কিছু দূরেই অবস্থিত এখানকার আবাদী কৃষি জমি। এই জমিগুলোতে প্রধানত তারা আলু চাষ করে। পাশাপাশি বেশ কয়েক ধরনের সবজিরও আবাদ করা হয়। দ্বীপের প্রায় সকলেরই গবাদি পশু আছে। তারা সেগুলো লালন পালন করে মূলত তাদের থেকে দুধের আশায়। কিন্তু এই গবাদি পশুর সংখ্যাও খুবই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। কারণ পশুর সংখ্যা বাড়লে তাদের মল মূত্রে দ্বীপের স্বাভাবিক জীবন ধারায় ব্যঘাত ঘটতে পারে। এই দ্বীপর আদিবাসীরা খাবারের জন্য মাছও শিকার করে।

 

5.আজব এক দ্বীপ!

দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি!

এই দ্বীপের আগ্নেয়গিরি এখনো সক্রিয়। তবে দ্বীপটিতে শেষবারের মতো অগ্নুৎপাত ঘটে ১৯৬১ সালে। লাভা ঠিক দ্বীপটি অতিক্রিম করে গ্রামের কোল ঘেঁষে সমূদ্রে গড়িয়ে পড়ে। সে যাত্রায় আদিবাসীরা অল্পের জন্য বেঁচে যায়।তাদের নিরাপত্তার জন্য দ্বীপ থেকে সরিয়ে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন শহরে এবং পরবর্তী ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। তার প্রায় বছরখানেক পর আদিবাসীরা পুনরায় স্ব-ইচ্ছায় দ্বীপটিতে ফিরে আসে।

 

6.আজব এক দ্বীপ!

ট্রিসটান দি কুনার আইন কানুন

দ্বীপটির প্রসাশনে ৩ বছরের জন্য কাউন্সিল নিযুক্ত হয়। আর এই দ্বীপের একমাত্র দু’তলা ভবনটি হচ্ছে দ্বীপটির প্রশাসনিক ভবন। আইনানুসারে দ্বীপে বাইরের কেউ এসেই জমি কিনতে পারবে না। যদি কেউ কিনতে চায় তবে পুরো দ্বীপটিই কিনে নিতে হবে।

 

7.আজব এক দ্বীপ!

যাতায়াত ব্যবস্থা

দ্বীপটি খুবই দুর্গম হওয়ায় বাইরের জগতের সঙ্গে এর যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। দ্বীপটিতে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। আর যান চলাচল বলতে আছে শুধু কেপটাউন থেকে আসা মাছ ধরার নৌকা। তবে এখানে তাদের নিজস্ব ইন্টারনেট ক্যাফে আছে। যেখান থেকে ই-মেইল পাঠানো সম্ভব। ক্যাফেটি সকলের জন্যই বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে।