ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৯  

‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও আওয়ামী লীগ’ এই তিনটি শব্দ ইতিহাসে একই সূত্রে গাঁথা। গৌরবময় ইতিহাসের নানা বাঁক পেরিয়ে আজ রোববার ৭০ বছরে পা রাখছে উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। রাজনীতিতে প্রায় সাত দশক ধরে নিজেদের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছে গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেয়া এ দলটি। তাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। এই লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের। এ দিন তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সব কার্যালয় সাজবে নতুন রূপে।

বঙ্গবন্ধু-না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। তাই সব নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ইতিহাস ভালোভাবে জানার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সাংবাদ সম্মেলনে বলেন, সারাদেশে জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মাসজুড়ে পালন করা হবে। ২৩ জুন থেকে ২৩ জুলাই এ কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচিতে রাখা হয়েছে সভা-সমাবেশ, সেমিনার ও র‍্যালি, আলোচনা সভা, প্রচার ও পুস্তিকা প্রকাশ, রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাঙ্কন।

তিনি বলেন, ঢাকায় তিন দিনের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ২৩ জুন সকালে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

পরের দিন ২৪ জুন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এরপর ২৫ জুন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেয় আওয়ামী লীগ। দলের সেই স্মৃতিবিজড়িত দিন সম্পর্কে দেশের জনগণ যেন ভালোভাবে জানতে পারে সে জন্য মাসজুড়ে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ চায় দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ বলেন, প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড নেতারা কার্যক্রম শুরু করেছে। অতীত ঐতিহ্য ধারণ করে দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বছরজুড়ে ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেন ঘিরে কোনো আয়োজন দেখা না গেলেও ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। নেতাকার্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে রোজ গার্ডেন। 

রোজ গার্ডেনে দায়িত্বরত আনসার (পিসি) শাহিনুর রহমান শাহিন জানান, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার স্মৃতিবিজড়িত রোজ গার্ডেনের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার, ব্যানারে ভরে গেছে। আলোকসজ্জিতও হতে পারে। এ উপলক্ষে ঢাকা ও আশেপাশের নেতাকর্মীরা রোজ গার্ডেন পরিদর্শনে আসছেন।

তিনি বলেন, এর আগে এখানে এতো মানুষ আসেনি। আগের মতোই নিরাপত্তার কাজে সজাগ রয়েছি। রীতিমতো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও করেছে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা।  

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনেই প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। গত বছর ব্যক্তি মালিকাধীন পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষিত ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনের বাড়িটি কিনে নেয় সরকার। এতে ব্যয় হয়, ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ দুই হাজার ৯০০ টাকা।

হৃষিকেশ দাস নামের এক ধনী ব্যবসায়ী ১৯৩১ সালে প্রায় ২২ বিঘা জমির ওপর ওই বাগানবাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন।