ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দৌড় প্রতিযোগিতায় সব বয়সী মানুষের ঢল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির ২য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ফানরান দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষসহ দৌড়বিদরা অংশগ্রহণ করেন।

ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু হয় দৌড় প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিযোগিরা শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড়ে এসে জড়ো হন। পরে লোকনাথ ট্যাংকের পাড় থেকে শহর অতিক্রম করে শেখ হাসিনা সড়ক পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এবং দশ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। দৌড় চলাকালে পাঁচ এবং দশ কিলোমিটার ক্যাটাগরির দৌড়ে বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদরা অংশগ্রহণ করেন। পরে তারা শেখ হাসিনা সড়কের নির্দিষ্ট এলাকা ঘুরে তিতাস সেতুতে এসে ফিনিশিং পয়েন্টে শেষ করেন।

এসব অংশগ্রহণকারীরা জানান, সুস্থ দেহ সবল মনের জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। এ ধরনের আয়োজন আরো বেশি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বীর কুমার জানান, আজ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি অনেকটা খুশি। আমি মনে করি, প্রত্যেকের জীবন সুস্থ এবং সবল রাখার জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই আসুন আমরা সবাই অন্তত ১ ঘণ্টা প্রতিদিন দৌড়াই।

অনুষ্ঠানের আয়োজক ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির সমন্বয়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. রাজন মিয়া জানান, আমরা সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য ২০২১ সালে একটি সংগঠন করেছিলাম। এ সংগঠনটির সক্রিয় রানার সংখ্যা এখন শতাধিক। এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন অন্তত আড়াই হাজার সদস্য। মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য এবং সুস্থ দেহ সরল মনের জন্যই এই আয়োজন। আগামী বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মানের বড় পরিবেশে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজনের কথা জানান তিনি।

দৌড় প্রতিযোগিতাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা প্রফেসর দিলারা আক্তার জানান, এবার প্রথমবারের মতো শিশুরা অংশগ্রহণ করেছে এ প্রতিযোগিতায়। তিনি সবাইকে এই সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।

ফানরান দৌড় প্রতিযোগিতায় মোট ৬টি ক্যাটাগরিতে ৮২ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।