ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২২ ১৪৩১

  • || ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও এত গ্র্যাজুয়েটকে চাকরি দেওয়া সম্ভব না’

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদের দেশ কৃষি অর্থনীতি থেকে এখন শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছে। এ অর্থনীতিতে এতো গ্র্যাজুয়েটকে চাকরি দেওয়া কঠিন। চাকরির জগৎটা এখনো সেভাবে প্রস্তুত হয়নি। এটাই বাস্তবতা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও এতো গ্র্যাজুয়েটকে চাকরি দেওয়া সম্ভব না। তারাও দেশ-বিদেশে চাকরি করতে যায়। প্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা কায়িক শ্রমের কাজও করে। 

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফেনী ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন তিনি। এতে ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েট শেষ করা ১ হাজার ৭৫৪ জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। 

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নওফেল বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নিজেকে যেকোনো কাজের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা ৯৯ শতাংশ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নয় এমন কাজে কর্মমুখী হয়। এমন ক্ষেত্রে কাজের জন্য অনেকে দেশের বাইরে যায়। শিক্ষাজীবনে যেন নিজেকে অতি উন্নত ও উচ্চমানের নাগরিক হিসেবে যেন না ভাবি, এমন মানসিকতা থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করেছেন, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে বিনা পারিশ্রমিকে যেতে হবে। তাহলেই বাস্তবজীবন সম্পর্কে জানতে পারবে। শুধুমাত্র চাকরির প্রত্যাশা করে আবেদন করলে চলবে না। উচ্চ শিক্ষিত মানেই আমরা উচ্চ বেতনের চাকরি প্রত্যাশা করে থাকি। উচ্চ বেতনের চাকরি কখনোই হবে না, যদি মানবিক মানুষ হিসেবে সব ধরনের পেশা ও বাস্তবজীবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জের কাজকে সম্মানের চোখে দেখে সেটা আত্মস্থ করতে না পারি।

উপমন্ত্রী বলেন, অনেকে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য উদ্যোক্তা হতে বলে। কিন্তু আমি সেটা কম বলি। কারণ এটির জন্য পুঁজির সংস্থান পাওয়া অত্যান্ত কঠিন। এজন্য অভিজ্ঞতাকে বড় পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গড়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ধর্মীয় বিষয়েও আমরা ধীরে ধীরে আধ্যাতিকতা বাদ দিয়ে লৌকিকতার দিকে যাচ্ছি। সহনশীল, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গড়ে তুলতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেলেও সামাজিকভাবে এসব বিষয়ে যদি পিছিয়ে থাকি সে অর্থনীতি ডুবে যেতে দুইমাসও সময় লাগবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ফেনী ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাছিম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবু তাহের। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী।

বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, গ্রাজুয়েটদের ন্যায়, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে একটি আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। এসময় গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক কথা বলেন তিনি।

সমাবর্তন বক্তা ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আজ গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের সাফল্যের পরিপূর্ণতার দিন। তোমরা কর্ম, আচরণ ও অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যম দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। টেকসই বাংলাদেশ গড়তে সকল পরিকল্পনায় প্রকৃতি পরিবেশের গুরুত্ব দিবে। 

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, একটি জাতির উন্নয়নে শিক্ষা কি ভূমিকা রাখতে পারে তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝেছিলেন। এজন্যই শিক্ষা খাত নিয়ে নিয়ে বিভিন্ন কথা বলতেন, কাজ করতেন। শিক্ষার মাধ্যমে মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক ও জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এ শিক্ষার্থীরা ভূমিকা রাখবে। কাজ করতে গিয়ে বাধা আসতে পারে। তবে সততা ও দৃঢ়তা থাকলে সেগুলো কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

বক্তব্যে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাছিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য যারা কাজ করে তাদের সম্মান করতে হবে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, ফেনী জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।