ফেনীতে নারী ভিক্ষুক গণধর্ষণ মামলার মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২

ফেনীতে নারী ভিক্ষুক গণধর্ষণ মামলার মূলহোতাসহ এজাহারনামীয় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার রাতে ফেনী ও দাগনভূঞায় অভিযান চালিয়ে মো. মেহরাজকে (৩৫) ও মো. সালাউদ্দিন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে।

র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে ভিক্ষুক গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামি সালাউদ্দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লালপুল এলাকায় অবস্থান করছে। র‌্যাবের একটি দল শুক্রবার অভিযান পরিচালনা করে সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিনের স্বীকারোক্তি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব গণধর্ষণের মূলহোতা পলাতক আসামি মেহরাজকে ফেনীর দাগনভূঞার দিলপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা মেহরাজ নোয়াখালীর হাতিয়ার ইউনুছপুর ফকিন্নিপাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ও সালাউদ্দিন নোয়াখালী সদরের চরজুবলী গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে।

র‍্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা এক ভিক্ষুক নারী গত ৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন থেকে ভিক্ষা করে ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে আসেন। সেখানে স্থানীয় ইটভাটার শ্রমিক জনৈক মেহরাজের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে মেহরাজ নারীকে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে এবিএম ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিকদের শোয়ার কক্ষে নিয়ে যায়। অতঃপর কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই নারী ভিক্ষুককে মেহরাজ ও তার ৭-৮ জন সহযোগী মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষণকারীরা নারীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ওই ঘটনায় নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে ৮ জনকে এজাহারনামীয় ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ফেনী মডেল থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে মামলার এজহারনামীয় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করলে পলাতক ছিলেন মুলহোতা মেহরাজ।