ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৯ ১৪৩১

  • || ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চাঁদপুরে ইলিশ উৎসবের তৃতীয় দিনের আলোচনা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

জাটকা এবং মা ইলিশের পাশে, আমরা আছি প্রতিটি নিঃশ্বাসে” এ শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারন করে চাঁদপুরে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের এ বছর ১৫ তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের তৃতীয় দিন বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে অতিবাহিত হয়েছে।

গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।

কদিন আগে একটি পত্রিকায় ইলিশ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তখন আমি চাঁদপুরের জেলার ইলিশের মূল্য সংগ্রহ করি। ২০১৬ সালে চাঁদপুর ইলিশের জন্য ব্র্যান্ডিং করা হয়। ব্র্যান্ডিং হয়েছে চাঁদপুর। কিন্তু ইলিশের স্বাদ তো বাড়েনি। চাঁদপুর সিটি অব হিলশা করা হয়। আমরা লঞ্চে যখন আসা যাওয়া করতাম তখন দেখতাম ভাড়া ৪০/৫০ টাকা। বর্তমানে বরিশালে লঞ্চ গুলো বিলাশ বহুল। পদ্মা সেতু হওয়াতে যাত্রী কমেছে। লক্সারি ফ্রুডের আওয়তায় পরে এই ইলিশ মাছ। এখন আর আগের স্বাদ ইলিশে পাওয়া যায়না।

নদীর বড় বড় মাছ এখন আর চাঁদপুর ঘাটে আসেনা। চাঁদপুর জেলা ইলিশের জন্য ব্র্যান্ডিং হয়েছে। কিন্তু আমাদের আয়ের উৎস বাড়েনি। সে জন্য ইলিশ কেনা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ইলিশ একটি নিদ্দিষ্ট সময়ে সমুদ্র থেকে নদীতে আসে। সেই সময় অতিবাহিত হলে ইলিশ তার গন্হব্যে ফিরে যায়। একটি বনে যদি হরিণ বৃদ্ধি পায় বুঝতে হবে এ বনে বাঘ নেই। আবার বাঘ বেরে গেরে বুঝতে হবে এ বনে হরিণ নেই।

তেমনি ঢাকা, মুন্সিগঞ্জের পানি দূষিত হওয়ার কারণে কিছু দিন পূর্বে ষাটনল এলাকায় নদীতে প্রচুর মাছ মরে ভেসে উঠে ছিল। তাতে বুঝা যায় চাঁদপুরের নদীর পানি দূষন হয়ে পরছে। আমরা আইন প্রয়োগ আর মোবাইল কোট পরিচালনা করে কোনো লাভ হবে না যদিনা আমরা সচেতন না হই।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, চতুরঙ্গের আজ ৪০ বছর। চতুরঙ্গ অনেক গুলো সাংস্কৃতিক উৎসব করেছে। রূপালী ইলিশ খ্যাত চাঁদপুর। সাবেক জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল চাঁদপুরকে ইলিশের জন্য ব্র্যান্ডিং করে দিয়েছেন। লক্ষীপুরের মালেকের হাটে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখেছি সেখানের নদীতে চর জেগে আছে। নদীর নাব্যতা ও চর কেটে দিলে ইলিশ নির্বিঘ্নে নদীতে চলতে পারবে। ইলিশ নিয়ে চাঁদপুরে অনেক কাজ হচ্ছে। ইলিশ নিয়ে আমরা যে অভিযান করি এই অভিযানে অনেকে সম্পৃক্ত থাকে।

মা ইলিশের সময় ২২ দিন এবং ডাক্তার দুই মাস যেভাবে অভিযান করি তাতে করে ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য আমরা চেষ্টা করি। আমাদের চিন্তা চেতনা থাকে এই ইলিশ সম্পদ রক্ষার জন্য। স্থানীয় জনপ্রতিনিধার যেভাবে জেলেদেরকে বলবে তারা সেটা গ্রহণ করবে, যদি আমরা অর্থাৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলি এটা জেলেরা গ্রহন করবে না। জনপ্রতিনিধিদের আমরা যদি সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে উপকারে আসতে পারে। অভিযানের সময় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত রাখতে পারলে আমরা অভিযান সুন্দর ভাবে করতে পারবো।জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আমরা সহায়তা পেলে আমরা যারা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা রয়েছি তারা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় কাজ করতে পারবো। চাঁদপুরে সরকারি চাকুরি করতে এসে প্রথম সপ্তাহে ৪৮ হাজার টাকা গচ্ছা দিতে হয়েছে।

ভোলার মনপুরা দেখেছি অনেক বড় বড় ইলিশ। তারা খুব বিলাশি জীবন যাপন করেন।তারা পানি না খেয়ে সেভেন আপ খায়। তা দিয়ে হাত মুখ ধূয়। সন্ধ্যা হলে তাস খেলায় মেতে উঠে। সেখানে বিধবা পল্লী নামে একটা গ্রাম রয়েছে। যে সব জেরে সমুদ্রে ইলিশ আহরনে গিয়ে দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে তাদের স্ত্রী ও সন্তান দের সেখানে স্হান দেয়া হয়। সরকার তাদের ব্যায়ভার বহন করে থাকে। চতুরঙ্গের এ আয়োজন প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।তবেই জেলেরা উপকৃত হবে। চতুরঙ্গের এ বার্তাটি জেলেদের মাঝে ছরিয়ে দিতে হবে।

আলোচকের বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) বশির আহমেদ। আলোচক ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদি হাসান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইলিশ উৎসবের আহ্বায়ক রোটাঃ কাজী শাহাদাত । শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বিণয় ভূষণ মজুমদার। ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশিদের সঞ্চালনায় সভাপ্রধান ছিলেন ইয়র্ক ফ্যাশানের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম খান।

বিকাল থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগিত পরিবেশ করে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী শুভ্র রক্ষিত, অর্পিতা রক্ষিত ঘোষ, রাজীব চৌধুরী, মুন্না ঘোষ, প্লাবন ভট্টাচার্য্য, এমএইচ বাতেন সহ শিল্পীরা।

তারপর এম আর ইসলাম বাবু র সঞ্চালনায় নারী ভাবনা অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষীপুর লতিকা নৃত্যালয়ের নৃত্যানুষ্ঠান, সুরধ্বনি একাডেমির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। তারপর অনুপম চক্রবর্তী ও সুমন শীলের দোতারা বাজানো হয়। সব শেষ রূপালী চম্পক ও সাধনা সরকার অনু সংগিত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে ইলিশ উৎসবের তৃতীয় দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।