ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আখাউড়ায় জমজমাট ফলের বাজার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২৩  

এখন চলছে মধু মাস। আম, কাঁঠাল, লিচু, জামসহ নানা জাতের ফলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারদিক। বাড়ি বাড়ি চলছে এক প্রকার আনন্দ। পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনদের আনাগোনা ও ফল-ফলাদি আদান-প্রদানও যেন চলছে পুরো দমে। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সর্বত্র হাট-বাজারে মৌসুমী ফলের বাজার বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় চাষিরা জানান, এ বছর মৌসুমী ফলের ভালো উৎপাদন হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার ফল সরবরাহ করা হচ্ছে।

এদিকে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আম, কাঁঠাল, আনারসসহ নানা জাতের মৌসুমী ফল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি পিছিয়ে নেই চাষিরাও। তারাও প্রতিদিন স্থানীয় বাজারগুলোতে রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে এনে ফল বিক্রি করছেন। তবে বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়ায় খুবই খুশি তারা।

মৌসুমী ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকায় স্থানীয় পর্যায়ে এর চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ। মধু মাসের ফলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মৌসুমী ব্যবসায়ীদের এখন চলছে সুদিন। তারা গাছ থেকে ফল কেনা আর বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর ফল বিক্রির মাধ্যমে উপজেলার শতাধিক মৌসুমী ব্যবসায়ী তাদের সংসারের খরচ মিটিয়ে বাড়তি আয়ে বেশ অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে।

একাধিক মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী জানান, তারা বছরের বেশির ভাগ সময় এলাকায় উৎপাদিত নানান ফল বিক্রি করে থাকেন। যে সময় ফল থাকে না তখন কৃষিসহ অন্যান্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

 

তালশাঁস বিক্রি করছেন

তালশাঁস বিক্রি করছেন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার আজমপুর, চানপুর, আনোয়ারপুর, কল্যাণপুর, দুর্গাপুর, হীরাপুর, আবদুল্লাপুর, বাউতলা, তুলাইশিমুল, খারকোট, মিনারকোট, মনিয়ন্ধসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা ঐ সব ফলের এক নিরভ বিপ্লব ঘটিয়েছে। বর্তমান ফলের ভরা মৌসুম হওয়ায় চাষি ও ফল ব্যবসায়ীরাও মৌসুমী ফল বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিন পৌর শহরের সড়ক বাজার দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে আম, লিচু, আনারস, কাঁঠাল, তাল, জামসহ নানা মৌসুমী ফলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। প্রকৃতির তাপে-গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার মাঝেও নানা পেশার লোকজন এসব বাহারি মৌসুমী ফল ক্রয় করছেন। দেশীয় ফলের আগমনে তাদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে প্রতি পিস কাঁঠাল ৩০-৩৫০ টাকা, ১ হালি আনারস ৯০-১৫০ টাকা, আম প্রতি কেজি ৭০-১৩০ টাকা, জাম ১২০-১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ফল বিক্রেতা সুমন সাহা বলেন, গত প্রায় ৭ বছর ধরে আমি বাজারে মৌসুম অনুযায়ী নানা জাতের ফল বিক্রি করছি। এখন ফলের ভরা মৌসুম হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেড়েছে। গত ২০ দিন ধরে আমি মৌসুমী ফল লিচু ও আম বিক্রি করছি। এসব ফল বিক্রি করে দৈনিক খরচ বাদে ৭০০-৮০০ টাকা আয় হচ্ছে।

কাঁঠাল ব্যবসায়ী মো. মুছা মিয়া বলেন, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য রয়েছে। ভারি কাজ করতে তার কষ্ট হয়। তাই তিনি মৌসুম অনুযায়ী বছরের বেশির ভাগ সময় নানা জাতের ফল বিক্রি করছি। আমার বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ১০টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। সবকটি গাছে ভালো ফলন এসেছে। এ মৌসুমে দুই মাস কাঁঠাল বিক্রি করা যাবে। বিক্রিতে ভালো দাম পেয়ে আমি খুবই খুশি।

 

ফল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা

ফল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা

গৃহিণী লিমা আক্তার বলেন, প্রত্যেক বছর মৌসুমী ফল মেয়ের বাড়িতে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই বাজার থেকে ২০০ লিচু, ৩টা কাঁঠাল, ২ হালি আনারস ও ৫ কেজি আম কিনেছি। মনে হচ্ছে গত বছরের চেয়ে দাম এবার একটু বেশি। এরপরও ফল বলে কথা।

উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের লিচুচাষি মো. ফরিদ মিয়া বলেন, গত প্রায় ২০ দিন ধরে আমি লিচু, ও কাঁঠাল বিক্রি করছি। স্থানীয় বাজারে এসব ফলের ভালো চাহিদা থাকায় বিক্রিতে ভালই লাভ হচ্ছে।

রাজাপুর এলাকার কাঁঠালচাষি মো. তাজু ভূইয়া বলেন, আমার ৩টি কাঁঠাল বাগানে ৮০টি গাছে ফলন এসেছে। গত এক সপ্তাহ থেকে কাঁঠাল বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে ২ মাস পর্যন্ত এ পর্যন্ত আমি ১৮ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেছি। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ও যাবতীয় খরচ বাদে ৭০ হাজার টাকার উপর আয় হবে বলে জানান তিনি।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, মৌসুমী ফলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। এ উপজেলার মাটি ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগি হওয়ায় প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে আম, লিচু ও কাঁঠালের ফলন ভালো হয়েছে। ফলন ভালো করতে সার্বিকভাবে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।