ব্রেকিং:
১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করবে সরকার সংকট উত্তরণের বাজেট বিমানে মন্ত্রী-সচিবদের প্রথম শ্রেণিতে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত পিপিপি’র পাইপলাইনে নতুন ১৩ মেগা প্রকল্প সরকারের পদক্ষেপে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ হয়েছে প্যানেল স্পিকার হলেন কুমিল্লার প্রাণ গোপাল দত্ত ও আঞ্জুম সুলতানা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় আরও বিনিয়োগ করুন সরকারের ঋণ কমেছে ২৩ হাজার কোটি টাকা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো দেশের প্রথম ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, ৩০ জেলে আটক চাটখিলে সরকারি সহায়তা পেল ৭১ পরিবার সুবর্ণচরে বিস্ফোরক মামলায় যুবদল নেতা কারাগারে হাতিয়ায় ৯ মণ সামুদ্রিক মাছসহ ৩০ জেলে আটক রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো গৃহবধূর ফেনসিডিল মামলায় যুবকের ৮ বছরের কারাদণ্ড ল্যাব ফাউন্ডেশন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা শাখার কমিটি নাঙ্গলকোটে সুইপারের লাশ উদ্ধার কুবিতে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিমানে জঙ্গলে ১৭ বছর মুক্তিযুদ্ধে ভিপি শাহআলমের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে
  • শুক্রবার ০২ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১৮ ১৪৩০

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৪

হোমনায় জহির হত্যা মামলার স্বাক্ষিকে হত্যার চেষ্টা,গ্রেফতার ২

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩  

কুমিল্লার হোমনায় যুবলীগ নেতা জহির হত্যার পর এবার ওই মামলার স্বাক্ষি ও নিহতের ভাই মো. খায়েরকে প্রকাশ্যে হাতুরী পেটা ও ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় পাঠান বাহিনী প্রধান কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল পাঠানকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬জনকে আসামি করে গত ২৩ মে রাতে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর অভিযুক্ত জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল হোসেন পাঠান ও আব্দুল হক ওরফে হক সাব নামে ২জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোমনা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
জানা যায়, স্থানীয় আধিপত্য ও রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে গেলো বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারি আসাদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. সালাউদ্দিন জহিরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত জহিরের বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে ওই মামলায় বর্তমান জেলা পরিষদ সদস্য মুকবল হোসেন পাঠানকে অন্যতম আসামি করা হয়। বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে ওই মামলাসহ প্রায় ১৬-১৭টি মামলা তার বিরুদ্ধে চলমান রয়েছে জানা যায়। জহির হত্যাসহ কয়েকটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই গত ২৩মে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর বাজারে নিহত জহিরের পিতা রেনু মিয়ার চায়ের দোকানে হামলা চালায় পাঠান বাহিনী।
এসময় নিহত জহিরের ভাই খায়েরকে হামলা করে সুইচ গিয়ার দিয়ে ঘাঁই মেরে ও হাতুরী পেটা করে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় অটোরিক্সায় বসে থাকা মো. কামাল নামের এক ব্যক্তি তাকে বাঁচাতে গেলে “পাঠান বাহিনী”র লোকজন তাকেও এলোপাতাড়ি হামলা করে এবং হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে কামাল হোসেনের মুখের ৪টি দাঁত ভেঙে ফেলে। উভয়কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেন।
এই ঘটনায় নিহত জহিরের পিতা রেনু মিয়া বাদী হয়ে মো. মুকবল হোসেন পাঠানকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে হোমনা থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলার বাদী রেনু মিয়া জানান, মুকবল পাঠানের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বাহিনীর লোকজন বোমা-ককটেল ফাটিয়ে এবং দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমার দোকানে হামলা চালায় ও লুটপাট করে। আমার এক ছেলে জহিরকে হত্যা করে এখন আবার আমার ছেলে খায়েরকেও হত্যা করতে চায়। জহির হত্যা মামলা না তুললে যেকোন সময় আমাকে বা আমার পরিবারের লোকজনকে খুন করে ফেলবে প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়। মুকবল পাঠানের বিরুদ্ধে নারী পাচার ও হত্যাসহ ১৬-১৭টি মামলা রয়েছে।
হোমনা থানার ও.সি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা এফআইআর করা হয়েছে। মুকবল পাঠান ও হক সাব নামে ২জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। মুকবল পাঠানের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন ও নারীপাচারসহ ১১টিরও বেশি মামলা আদালতে বিচারাধীর রয়েছে।