ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অভিনব কায়দায় স্কুলছাত্রীর কানের সোনার দুল নিয়ে চম্পট নারী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২২  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে অভিনব কায়দায় সুবর্ণা আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রীর কানের সোনার দুল নিয়ে চম্পট দিলেন এক  নারী । 

বুধবার দুপুরে পৌর শহরের তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

সুবর্ণা ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও মৃত শাহিন মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক মহলের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। 

জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সুবর্ণা বিদ্যালয়ে আসে। শ্রেণি কক্ষে তার স্কুল ব্যাগ রেখে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলতে মাঠে যায়। এ সময় এক নারী বোরখা ও মুখে মুখোশ পড়ে বিদ্যালয়ে আসেন। এক পর্যায়ে তিনি কৌশলে শিক্ষককদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষকরা কথা বলে ভেতরে চলে গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এসময় সুবর্ণাকে টার্গেট করে তার সঙ্গে কথা বলেন। 

ওই নারী সুবর্ণাকে জানান, তার এক মেয়ে বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রিলিয়ান্ট কিন্ডার গার্টেন স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে। আগামীতে তাকে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসবেন। পরিবারের খবর জানতে নানা প্রশ্ন করেন তার কাছে। এক পর্যায়ে সে আর কিছুই বলতে পারছে না। 

সুবর্ণার ভাষ্য, ‘আমার কি হয়েছে, আমি কোথায়, কিছুই মনে হচ্ছে না।  কিছক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে সে বিদ্যালয়ে আসার চেষ্টা করে। এরপর তার কানে হাত পড়লে বুঝতে পারে তার কানের দুল নেই। 

বিদ্যালয়ের সামনে কান্নাকাটি করতে দেখে শিক্ষকরা এসে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ কি হয়েছে আর কিছুই বলতে পারছিনা। সে আমার কানের দুল নিয়ে গেছে। আমার শরীর ঝিমঝিম করছে। 

এদিকে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অভিভাবক মহলে। তাদের দাবি শিক্ষকরা উপস্থিত থাকা স্বত্বেও চেনতানাশক খাইয়ে কিভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। 

অভিভাবক মো. আমির হোসেন বলেন, কোমলমতি ছেলেমেয়েদেরকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি। প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা আসলেই মেনে নিতে পারছি না। 

প্রধান শিক্ষক মৌসুমী আক্তার বলেন, আসলে এটি একটি দু:খজনক ঘটনা। এই বিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত এ জাতীয় কোনো ঘটনা ঘটেনি। আসলে ওই নারী যেভাবে কথা বলেছেন আমাদের ধারনা তিনি এই বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবক। তবে মুখোশ পড়া থাকায় তাকে চেনা যায়নি। নানাভাবে তাকে চেনার চেষ্টা করছি।