‘বাবা নেই, স্বামীও নেই, আল্লাহ আমারেও নিয়ে যাও’

বিয়ের এক মাস আগে মারা গেছেন বাবা। পরে ভালোবেসে রিয়াজের সঙ্গে সুখের সংসার বেঁধেছি।  কিন্তু আল্লাহ সেই সুখ কপালে রাখলো না। বাবা নেই, স্বামী নেই এখন আমি কার কাছে যাবো। ‘আল্লাহ আমারেও নিয়ে যাও’ এমন আহাজারি করে বার বার কান্নায় মুর্চা যাচ্ছেন (স্ত্রী) রিয়া। 

ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কাপড় শুকাতে বাসার ছাদে বাঁশ বাঁধার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান রিয়াজ হোসেন এক যুবক। রিয়াজ কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউপির মতিরহাট এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি টাইলস’র শোরুমে চাকরি করতেন। 

জানা যায়, কাপড় রোদে দেওয়ার জন্য একটি বাঁশ বাঁধতে রিয়াজ বাসার ছাদে উঠে। এ সময় ছাদে থাকা বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে  চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

রহিমা আক্তার রিয়া বলেন, বিয়ের আগে আমার বাবা মারা গেছেন। ভালোবেসে রিয়াজের সঙ্গে সুখের সংসার বেঁধেছি। কিন্তু আল্লাহ সেই সুখ কপালে রাখলো না। বাবা নেই, স্বামী নেই এখন আমি কার কাছে যাবো। ‘আল্লাহ আমারেও নিয়ে যাও’ এসব বলে বার বার কান্নায় মুর্চা যাচ্ছেন (স্ত্রী) রিয়া।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক একে আজাদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা মৃত অবস্থায় তাকে পেয়েছি।