ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

বিজয়নগরে ২০ গ্রাম প্লাবিত, ২৮ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিতাস নদী ও বিজয়নগরের কাজলা বিলের পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার বিজয়নগর উপজেলার ৬ ইউপির ২০ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। 

বন্যা কবলিত ইউপিগুলো হলো চর-ইসলামপুর, পত্তন, ইছাপুরা, চম্পকনগর, বুধন্তি ও হরষপুর ইউনিয়ন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এসব গ্রামের ফলসি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

জানা গেছে, তিতাস নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার দত্তখোলা, এক্তারপুর, সহদেবপুর, চর-ইসলামপুর, মনিপুর, পত্তন, গোয়ালখলা, লক্ষীমোড়া, চান্দুরা, কালিসিমা, চম্পকনগরের ভাটি এলাকাসহ উপজেলার ২০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৬৮৭টি পরিবারের ৩ হাজার ৪৩৫ জন। 

বানভাসী মানুষের অভিযোগ গত ১ সপ্তাহ ধরে তারা দুভোর্গের শিকার হলেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত তারা কোনো সাহায্য-সহযোগীতা পায়নি।

মনিপুর গ্রামের নায়েব মিয়া বলেন, ‘বন্যার পানিতে পরিবার পরিজন, গরু-বাছুর নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। রান্না ঘর, টিউবওয়েল, বাথরুম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গরু রাখার কোনো জায়গা নেই। অন্য এলাকায় নিয়ে গরু রেখে এসেছি। এভাবে যদি পানি বাড়তে থাকে তাহলে বাড়ি ছাড়া হতে হবে।’

 

বিজয়নগর উপজেলার ৬ ইউপির ২০ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত

বিজয়নগর উপজেলার ৬ ইউপির ২০ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত

উপজেলার চান্দুরা ইউপির কালিসীমা গ্রামের জয়নাল ইসলাম বলেন, বন্যার পানিতে খুব অসহায় অবস্থায় আছি। বাড়ি  ঘরে পানি উঠেছে। পুকুরের মাছ সব ভেসে গেছে।  

কালীসীমা গ্রামের আমেনা বেগম নামে এক নারী বলেন, ‘প্রতিদিনই আস্তে আস্তে পানি বাড়ছে। বাড়ির উঠানে কোমর পানি। বাড়িঘর থেকে বের হতে পারছি না। বাথরুম, রান্নাঘর পানির নিচে। ঘরের ভেতরে কোনো রকম রান্না করে খেয়ে বেঁচে আছি। এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যান কেউ কোনো খোঁজ নেয়নি।’

উপজেলার চর-ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান দানা মিয়া ভূইয়া বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাইনি।  

উপজেলা কৃষি অফিসার সাব্বির আহমেদ বলেন, বন্যায় ১৩৫ হেক্টর আউশ ধানের জমি ও ৪০ হেক্টরের সবজির জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

বিজয়নগর ইউএনও এ.এইচ. ইফরান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বন্যা কবলিত লোকদের জন্য ২৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার ২০ গ্রাম বন্যায় কবলিত হয়েছে। ৬৮৭টি পরিবারের ৩ হাজার ৪৩৫ জন মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি। বৃহস্পতিবার থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।