ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

৯ মাসে ব্যাংকের লকার থেকে ছয় ভরি স্বর্ণ গায়েব

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১  

ইসলামী ব্যাংকের লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শাখার লকারে ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জমা রেখেছিলেন নাজমুন নাহার নামে এক গ্রাহক। লকারের চাবিও তার কাছেই ছিল। রোববার ব্যাংকে গিয়ে লকার খুলে দেখেন ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উধাও। এ ঘটনায় ওই রাতেই রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ব্যাংক ম্যানেজারের বক্তব্য শুনেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী নাজমুন নাহার ওই উপজেলার বামনী গ্রামের নজির আহমেদের স্ত্রী। বোববার বিকালে ব্যাংক থেকে স্বর্ণালঙ্কার আনতে গিয়ে বিষয়টি টের পান তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে নাজমুন নাহার ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখায় একটি লকার একাউন্ট খোলেন। তাকে ব্যাংকের ১৮ নম্বর লকারটি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। তিনি সেখানে ছোট-বড় দুটি হার, একটি নেকলেস, দুই জোড়া চুড়ি, এক জোড়া কানের দুল, এক জোড়া ঝুমকা, একটি বড় আংটিসহ ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রাখেন। লকারের একটি চাবি নাজমুন নাহারকে দেওয়া হয়, অন্যটি রেখে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

নাজমুন নাহার জানান, গত ৯ মাসে লকারটি একবারের জন্যও খোলা হয়নি। রোববার দুপুরে তিনি ব্যাংকে গিয়ে ১৮ নম্বর লকারটি খুলে দেখতে পান সেখানে কোনো স্বর্ণালঙ্কার নেই। বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা টালবাহানা শুরু করে। পরে ম্যানেজার এসে ২০ নম্বর লকারটি খুলে ২২ ভরির মতো স্বর্ণালঙ্কার বের করে দেন।

ম্যানেজারের কাছে ১৮ নম্বর লকারের স্বর্ণ ২০ নম্বরে যাওয়া এবং ৬ ভরি স্বর্ণ কম থাকার কোনো ঘটনায় ব্যাখ্যা দিতে না পারায় রোববার রাতেই নাজমুন নাহার রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখার ম্যানেজার মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের লকারে চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী আছে। লকার থেকে স্বর্ণ চুরি বা উধাও করা কঠিন। লকারের আগের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই আমরা এর সমাধান করব। গ্রাহকের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত করে গেছে।

ভুক্তভোগী গ্রাহক নাজমুন নাহার বলেন, ওমরাহ করতে যাওয়ার আগে বাড়ি থেকে ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এনে ব্যাংকের লকারে রেখেছি। এখন লকার খুলে পেয়েছি ২২ ভরি। একটি চেইন, দুটি কানের দুল, দুটি রিং ও একটি নুপুর পাওয়া যায়নি। এগুলোর ওজন ৬ ভরি। পুলিশ ব্যাংকে গিয়ে তদন্ত করেও অনেক গড়মিল পেয়েছে।

রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণ গায়েবের অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে ব্যাংক ম্যানেজারের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।