ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

৮০ শতাংশ টিউবওয়েল পানিশূন্য

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২১  

প্রচণ্ড তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ফেনীর বেশ কয়েকটি উপজেলায়। এসব এলাকায় প্রায় ৮০ শতাংশ টিউবওয়েলে পানি নেই। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। নলকূপ, পুকুর, খাল—বিলসহ কোথাও নেই পানি। ফলে অস্বাস্থ্যকর পানি পান করে ডায়েরিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার জি.এম.হাট ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বাড়ীর নলকূপে মিলছে না সুপেয় পানি। শুধু বাড়ীতে নয় জি.এম.হাট ইউনিয়ন পরিষদের গভীর নলকূপেও দেখা নেই পানির চিহ্ন। বেশিরভাগ গভীর নলকূপে পানি উঠছে না এই চিত্র দেখা গেছে পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, দাগনভূঞা ও ফেনী সদর উপজেলায়। ফলে পানি সংগ্রহে দূর দূরান্তে ছুটছেন ভুক্তভোগীরা। এতে অনেকে পুকুর অথবা ডোবার অস্বাস্থ্যকর পানি পান করে ডায়রিয়াসহ পড়ছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

এদিকে খাল ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় পানির অভাবে ফসলের বীজ নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষীরা। অনাবৃষ্টির পাশাপাশি গরমের তীব্রতা বাড়ায় ভূ—গর্ভের স্তর নেমে গভীর নলকূপেও পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় পানি। জেলার লক্ষাধিক নলকূপে এমন সমস্যা জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

দাগনভূঞার ওমরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত নলকূপে পানি উঠছে না। আমরা মনে করেছিলাম নলকূপের যন্ত্রপাতিতে সমস্যা, পর বুঝতে পারলাম পানি উঠছে না।

জি.এম.হাট বাজার ব্যবসায়ী এবাদ উল্যা, বদরুল আলম বাবলু ও দিদারুল আলম বলেন, গত ৪/৫ মাস ধরে আমরা কোন টিউবয়েলের পানি পাচ্ছি না। আমরা খাওয়ারের পানির জন্য কষ্ট করছি। পুকুরের পানি ফিটকারীসহ বিভিন্ন উপায়ে পরিশোধন করে পান করা হচ্ছে। সরকার এসব এলাকায় ক্ষরা মৌসুমের জন্য ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

জি.এম.হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মজিবুল হক বলেন, এলাকায় প্রায় ৮০ শতাংশ টিউবওয়েলে পানি নেই। খাল জলাশয়ে পানির অভাবে ফসলের বীজ নিয়ে সংকটে পড়েছেন চাষিরা।

ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আবদুল আলিম বলেন, খাওয়ার পানির ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা করে মন্ত্রণালায়কে অবহিত করেছি। ক্ষরা দীর্ঘ স্থায়ী হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

ফেনী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, অনেক এলাকায় গভীর নলকূপে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। সামনে আমাদের কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। গ্রামাঞ্চলে গভীরতা আরো একটু বাড়িয়ে দিতে হবে। শহরাঞ্চলে পাইপলাইন মাধ্যমে পানি সরবরাহের মাধ্যমে এই সমস্যাটা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। খাওয়া ও রান্না-বান্নার কাজে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করলেও গৃহস্থালী, শিল্প ও কৃষিকাজ বা অন্যকাজে এ পানি ব্যবহার না করা ভালো।