ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

তারেকের গোঁয়ার্তুমিতে বিলীনের পথে বিএনপি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২২  

প্রতিপক্ষ দল আওয়ামী লীগের গোছানো রাজনীতি ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের কাছে বরাবরই অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়ে আসছে বিএনপি। তারেক রহমানের গোঁয়ার্তুমি, হঠকারিতা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা এবং ক্রমাগত ভুল পদক্ষেপের কারণে রাজনীতিতে ক্রমশ বিলীন হতে বসেছে দলটি। 

বেশির ভাগ নেতাই মনে করেন, দলের এই দশার জন্য তারেক রহমানই দায়ী। তাই দল বাঁচাতে তারেক বিরোধী শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপিতে।

বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর ফল হাতেনাতে পেয়ে ক্ষমতা থেকে ছিটকে গেছে বিএনপি। তবুও তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ হয়নি।

২০১৪-১৫ সালে দেশজুড়ে হাজারো মানুষকে পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত। 

খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে বিদেশে পলাতক তারেক রহমানের নির্দেশেই ঘটে এসব ঘটনা। বিএনপির একাধিক নেতাই তা অকপটে স্বীকারও করেছেন।

বিশেষ করে ২০০১-এ ক্ষমতায় এসে বিরোধীদল ও সংখ্যালঘুদের ওপর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলা-নির্যাতন, গুম-খুন, মামলা দিয়ে যে দমন-নীতি গ্রহণ করেছিল, তা ছিল বিএনপির রাজনৈতিক অস্তিত্বের জন্য বড় হুমকি।

এছাড়া ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে একইসঙ্গে খতম করে দেওয়ার জন্য চালানো হয়েছিল নৃশংস গ্রেনেড হামলা, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির ভাবমূর্তি পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারায় দলটি।

কানাডার আদালত কর্তৃক দুইবার দুটি ভিন্ন মামলায় বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করা হয়েছিল।

এদিকে বিএনপির এক তরুণ নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, দলের পক্ষে কাজ করা বাদ দিয়ে সিনিয়র নেতারা একে অপরকে টেনে নামানোর কাজে ব্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনীতি কোনদিকে মোড় নেবে তা জানেন না দলের সিনিয়র নেতারাও। 

ফলে বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা, তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মনে সংশয় রয়েছে। আর আমি নিজেই দলের এমন অবস্থা দেখে হতাশ। কোনো কর্মসূচি না থাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীরাও আমার মতো হতাশ। আর সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমানের কাজের সামঞ্জস্য নেই, মূল্যায়নও নেই। দল হলো এখন তারেকের টাকা কামানো আর ধান্দার জায়গা।

তাই দলের ভালোর জন্য এখন বিএনিপর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছাড়াও দলের কিছু প্রবীণ এবং শিক্ষিত তরুণ নেতা তারেক বিরোধী জোট গঠন করেছেন। এই জোটের নেতারা মনে করেন, দলকে সংগঠিত করার বদলে ক্রমাগত ভুলের কারণে রাজনীতিতে কোণঠাসা বিএনপি। সব দুর্বলতা দূর করে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এখানে বড় বাধা তারেকপন্থী নেতারা।