ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ধর্ষণের আগে অতিরিক্ত মদপান করানো হয়েছিল সেই শিক্ষার্থীকে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২২  

ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও আসামি মর্তুজা পূর্বপরিচিত ছিলেন। সেই সুবাদে তারা প্রায়ই একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে পার্টির আয়োজন করা হয়। সেখানে হালকা নাস্তার পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত মদপান করানো হয়। এরপর মর্তুজার অন্য বান্ধবীর বাসায় নিয়ে ভুক্তভোগীকে দুই রাত ধরে ধর্ষণ করা হয়। অতিরিক্ত মদপান ও ধর্ষণের কারণে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

ওই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দেওয়া চার্জশিটে একথা বলা হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক আসামিদের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট দাখিল করেন। ডিএমপির অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।  চার্জশিটভুক্ত ছয় আসামি হলেন- মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, মোসা. নুহাত আলম তাফসীর, ফারজানা জামান ওরফে নেহা, শাফায়েত জামিল, রিয়াজ উদ্দিন ও নুরুল আমিন। রিয়াজ ও নুরুল আমিনের বর্তমানে কারাগারে এবং বাকিরা জামিনে আছেন। আরাফাত অতিরিক্ত মদ্যপানে মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।  

আসামি মর্তুজা রায়হানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ও দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় ধর্ষণ ও অতিরিক্ত মদ্যপান করানোর মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। আসামি নুহাত আলম তাফসীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতা এবং ফারজানা জামান নেহা ও শাফায়েত জামিলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অতিরিক্ত মদ পান করানোর মাধ্যমে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়। আর ক্ষতিকর মদ সরবরাহের জন্য দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয় আসামি রিয়াজ উদ্দিন ও নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে।

চার্জশিটে বলা হয়, নিহত ছাত্রী ও আসামিরা একে অপরের পরিচিত ছিলেন। তারা একইসঙ্গে চলাফেরা করতেন। শিক্ষার্থী, প্রধান আসামি মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীর সহপাঠী ছিলেন। এছাড়া ক্ষতিকর মদ্যপানে মৃত আরাফাত ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইংলিশ মিডিয়ামে এক সময় সহপাঠী ছিলেন। 

গত বছর ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা। আসামিদের মধ্যে মর্তুজা রায়হান চৌধুরী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছর ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও মর্তুজা রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং শাফায়াত জামিল উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ওই তরুণীসহ আসামিরা মদপান করে।

এজহারে আরো বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে মর্তুজা রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বান্ধবী নুহাত আলম তাফসীরের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে মর্তুজা ও তরুণীকে একটি রুমে থাকার সুযোগ করে দেন নুহাত। রাতে ওই রুমে মর্তুজা তরুণীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। 

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে মর্তুজা রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।