ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

২২ বছর পর কৃষকদলের নতুন কমিটি, জানেন না খালেদা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১  

দীর্ঘ ২২ বছর পর নতুন কমিটি পেলো কৃষকদল। তবে এবারো খালেদা জিয়াকে না জানিয়ে এ কমিটি গঠন করেন তারেক রহমান। যা নিয়ে দল ও রাজনৈতিক মহলে রীতিমত বইছে সমালোচনার ঝড়।

বয়সের খাতায় যতই সংখ্যা যোগ হচ্ছে, ততই যেন দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। একের পর এক মিলছে তারই প্রমাণ। এর আগে তাকে না জানিয়ে সৌদি আরব বিএনপি, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ও ঢাকা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর এবার ঘোষণা করা হলো কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নতুন কমিটি।

কমিটিতে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে সভাপতি ও শহীদুল ইসলাম বাবুলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি সবাইকে জানানো হয়। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুমোদিত ওই কমিটির অন্য পদগুলোতে রয়েছেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব, যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন এমপি ও দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম।

কমিটি অনুমোদনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি যেটা করেছি, সেটা তারেক রহমানের নির্দেশনাতেই করেছি। এখন তিনি খালেদা জিয়ার অনুমতি নিয়েছেন কিনা, সে তথ্য আমার কাছে নেই। যদি জানতে পারি, তবে আপনাদের জানাবো।

এ বিষয়ে খালেদার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচররা বলছেন, খালেদা জিয়া অনেক বিশ্বাস করে দলের ভার তারেকের উপর দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ম্যাডামের (খালেদার) বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন, মীরজাফরি করেছেন। নিজস্ব সাম্রাজ্য গড়ে তুলে ক্রমেই দলীয় নেত্রীকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। যার সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দলীয় বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী দিনে। সেদিন ব্যানারে কোথাও খালেদা জিয়া ছবি ছিলো না। এখানেই শেষ নয়, তিনি ম্যাডামকে না জানিয়ে একের পর এক কমিটি ঘোষণা করে চলেছেন। যাদের কাছ থেকে টাকা বেশি পাচ্ছেন, তাদেরকেই তিনি কমিটিতে ঠাঁই দিচ্ছেন। সে যোগ্য হোক আর অযোগ্য হোক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের মহানুভবতায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তির পর থেকেই তারেক রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার নীরব রেষারেষি চলে আসছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দলের বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত এখন স্বৈরাচারীভাবে তারেকই নেন। গর্ভধারিণী মা ও দলীয় চেয়ারপার্সনকে জানানোর প্রয়োজনটুকুও বোধ করেন না। এ থেকে তাদের মধ্যকার ও দলীয় দ্বন্দ্ব সুস্পষ্ট হয়।