ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২২ ১৪৩১

  • || ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

নোয়াখালীতে চাহিদার চেয়ে ৩০ হাজার বেশি পশু

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৪  

নোয়াখালীর নয় উপজেলায় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৮ কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলায় চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৩ পশু। চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩০ হাজার ৩৯৫ পশু। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবুল কালাম আজাদ খবরের কাগজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার খামারিরা চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত কোরবানির পশু উৎপাদন করেছে। এর মধ্যে ষাঁড় ৫৩ হাজার ৪০৪টি, বলদ ৩৭ হাজার ৮৯২টি, গাভী ১৩ হাজার ৭৮৮টি, মহিষ সাত হাজার ৪৭৬টি, ছাগল ৪২ হাজার ৩১৬টি, ভেড়া ১২ হাজার ৫০০টি এবং অন্য পশু দুইটি।

মো. আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, উপজেলায় পর্যায়ে সদরে ৩২ হাজার ৮০৭ পশুর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ২৬ হাজার ২৭২ পশু। এর মধ্যে বেগমগঞ্জে প্রস্তুত ২১ হাজার ৬০৪ পশু, চাহিদা রয়েছে ১৯ হাজার ৯৬৩ পশু। চাটখিলে প্রস্তুত ১২ হাজার ৪৪৬ পশু, চাহিদা রয়েছে ১১ হাজার ২৪৫ পশু। সেনবাগে প্রস্তুত ২৭ হাজার ২৬২ পশু, চাহিদা রয়েছে ২০ হাজার ৭৮৮ পশু। কোম্পানীগঞ্জে প্রস্তুত ২৭ হাজার ২৬২ পশু, চাহিদা রয়েছে ২০ হাজার ৭৮৮ পশু। হাতিয়ায় প্রস্তুত ১৭ হাজার ৩৪৩ পশু, চাহিদা রয়েছে ১৪ হাজার ৫১০ পশু। সোনাইমুড়ীতে প্রস্তুত ১১ হাজার ৮৭৯ পশু, চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার ৫০০ পশু। সুবর্ণচরে প্রস্তুত ১৩ হাজার ৪০৮ পশু, চাহিদা রয়েছে আট হাজার ৪৯৫ পশু এবং কবিরহাটে প্রস্তুত ১০ হাজার ৫৭৭ পশু, এখানে চাহিদা রয়েছে আট হাজার ৮৩০ পশু।

কোম্পানীগঞ্জের খামারি মো. ফয়সাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘এবার আমি ২২টি গরু লালন-পালন করেছি। আগের তুলনায় খাদ্য, ওষুধ ও বিভিন্ন ভ্যাকসিনের চড়া মূল্যের কারণে খরচ অনেক বেশি পড়েছে। তাই গরুর দাম আগের তুলনায় একটু বেশি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘যারা দেশীয় উপায়ে উৎপাদিত গরু দিয়ে কোরবানি দেন, তারা দাম একটু বেশি হলেও এসব গরুই পছন্দ করবেন।’ 

দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের খামারি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই পশুপালনের প্রতি শখ ছিল। বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড হওয়ায় সেভাবে সুযোগ হয়ে ওঠেনি। দুর্গম এ অঞ্চলে খামার দেওয়া দুরূহ ব্যাপার। তার পরও আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাসলিমা ফেরদৌসী খবরের কাগজকে বলেন, ‘সরকার পশুসম্পদ উৎপাদনে আন্তরিক। এবার আমরা সরকারিভাবে খামারিদের নানাভাবে তদারকি করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পশু উৎপাদনের মাত্রা অনেক বেশি হয়েছে।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বৃহত্তর নোয়াখালীর (নোয়াখালী-ফেনী-লক্ষ্মীপুর) উপ-পরিচালক ডা. মো. আবদুর রহিম বলেন, ‘নোয়াখালীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া এলাকাটা নিচু হওয়ায় পশুপালন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তার পরও খামারিরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এবার ভালো উৎপাদন করেছে।’