ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

নোয়াখালীতে তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩  

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়ায় তিন শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) জমিদারহাট বিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, জমিদারহাট বিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছরুল্যাহ আল মাহমুদ পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের রসায়ন বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছেন ওই বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কেন্দ্র কমিটির সভাপতি মো. ইয়াসির আরাফাতকে জানান। পরবর্তীতে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও হল সুপার মো. ইউনুস নবীর যোগসাজশে এই দায়িত্ব দেওয়ার প্রমাণ মেলায় তাকেও ইউএনও মো. ইয়াসির আরাফাত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলার কারণে আরেক হল সুপার আলমগীর হোসেনকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছরুল্যাহ আল মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে বিজ্ঞানের বিষয়ের দিন বিজ্ঞানের শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষাকক্ষে প্রশ্ন প্রেরণ করা হয়। শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস ওই ১৫ মিনিটে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সমাধান করে নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে কক্ষে আছেন সেই কক্ষে গিয়ে উত্তর বলে দিচ্ছিলেন। আমি হাতেনাতে তাকে ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাই। তিনি তাৎক্ষণিক কেন্দ্রে আসেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কেন্দ্র কমিটির সভাপতি মো. ইয়াসির আরাফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, মূলত নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং হল সুপার মো. ইউনুস নবীর যোগসাজশে এই অনিয়ম সংগঠিত হয়েছে। তিনি নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেওয়ার জন্য বিধিবহির্ভূত দায়িত্ব প্রদান করেন। এছাড়া সুবিধা নিয়ে গণিত পরীক্ষার দিনও এই শিক্ষককে দায়িত্ব দেন আরেক হল সুপার আলমগীর হোসেন। তাই তাকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং হল সুপার মো. ইউনুস নবী ও বিএসসি শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাসের এমপিও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।