ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

২৫ বছর আগের হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

নোয়াখালীতে ২৫ বছর আগে সোলায়মান মাহমুদ নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ গুম করার ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা আক্তারসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।  

গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না। 

সরকার পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন—নিহতের স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের হেঞ্জু মিয়া ও সদর উপজেলার সামছুদ্দিন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ আবু সোলায়মান মাহমুদ অপহরণ হয়েছেন এমন অভিযোগ এনে সুধারাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৯৯৮ সালে ২৮ মে সদরে একটি স্থান থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেন। 

মৃতদেহটি সোলায়মান মাহমুদের শনাক্ত হওয়ার পর এটি নিয়ে গভীর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য আসতে থাকে পুলিশের হাতে। পুলিশ নিশ্চিত হয় রহিমা আক্তারের সঙ্গে হেঞ্জু মিয়ার সম্পর্ক ছিল। যার জেরে তারা দুজন তৃতীয় ব্যক্তির সহযোগিতায় কৌশলে সোলায়মানকে হত্যার পর মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে নির্জন স্থানে ফেলে দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের স্ত্রীসহ ৭ জনকে আসামি করে ১৯৯৮ সালেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। স্বামী খুনের দায় স্বীকার করে রহিমাসহ ৩ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন। বাকিদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মামলার রায় দেন। আসামিরা জামিন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।