ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নোয়াখালীতে যুবকের সঙ্গে সংসার পাতলেন মিশরীয় তরুণী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২  

প্রেমের টানে বাংলাদেশি যুবক গোলাম সারোয়ার বাবুকে (২৬) বিয়ে করে সুদূর মিশর থেকে বাংলাদেশে এসেছেন মিশরীয় তরুণী ডালিয়া (২৬)। নোয়াখালীতে এসে সংসার শুরু করেছেন স্বামী বাবুর সঙ্গে। এদিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণায় মুখরিত তাদের বাড়ি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই দম্পত্তি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে আসেন। ২০২০ সালের মিশরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর এই প্রথম দম্পতি প্রথম বাংলাদেশে আসেন। 

গোলাম সারোয়ার বাবু জানান, তিনি ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিশর যান। সেখানে তিনি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। মিশরী তরুণী ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতেন তিনি। তার ভাইয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল। এ সুবাধে মাঝে মধ্যে ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল আমার। এক সময় বাবু ডালিয়াকে তার ভালো লাগার বিষয়টি জানায়। এতে ডালিয়ার সায় দিলে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইন কানুন মেনে মিশরে তাকে আমি পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। গত বছর আমাদের একটি বাচ্চা হয়। পরে সে মারা যায়। এরপর এই প্রথম দুইজনের একসঙ্গে দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি। বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত।

মিশরী তরুণী ডালিয়া বাংলা বলতে না পারলেও মিশরী ভাষায় সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। মিশরী ভাষা বাংলা অনুবাদ হিসেবে তার স্বামীর বাবু সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালোবেসেন। তবে খাবারে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পছন্দ বলেও মন্তব্য করেন। এ সময় কারো সঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুরবাড়িতে দুই মাস থেকে আবার মিশর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।

বাবুর বাবা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারায় ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত।

নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, বিদেশি পুত্রবধূকে দেখার জন্য শত শত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছে। গ্রামের মানুষ এতে খুশি। ছেলে-পুত্রবধূর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।