ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইনজেকশ পুশ করে কিশোরীকে ধর্ষণ, টাকার বিনিময়ে পল্লি চিকিৎসক ছাড়া!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২২  

নোয়াখালীর হাতিয়ায় এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণে অভিযোগ উঠেছে জহির উদ্দিন (৩৫) নামে এক পল্লি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। 

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিষয়টি মীমাংসার নামে অভিযুক্তের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন স্থানীয় তিন ব্যক্তি। ঐ তিন ব্যক্তি হলেন- ফরাজী, ইসমাইল ও তাজু।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার থানায় মামলা করেছে। তবে পুলিশ ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা নিলেও ঐ তিন ব্যক্তিকে আসামি করেনি। 

জানা গেছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত পল্লি চিকিৎসক জহির উদ্দিন উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের নলেরচর গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে। চানন্দী বাজারে তার ফার্মেসি রয়েছে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, গত ২৮ জুন রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তার মেয়ে ঘর থেকে বের হয়। এ সময় জহির উদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে পুকুর পাড়ে নিয়ে শরীরে ইনজেকশন পুশ করে। পরে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

তিনি বলেন, পরদিন সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে আমি স্থানীয় তাজু ও ইসমাইলকে জানাই। তারা বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর ৮ জুলাই গভীর রাতে আমাদের না জানিয়ে চানন্দী বাজারে বৈঠকে বসেন মালেক ফরাজী, ইসমাইল ও তাজু। মীমাংসার নামে তারা অভিযুক্ত জহিরের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। 

এ ঘটনায় গত ১৪ জুলাই ঐ কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। তবে ধর্ষক জহিরের বিরুদ্ধে মামলা নিলেও ঐ তিন ব্যক্তিকে আসামি করেনি পুলিশ। 

ঐ কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষক জহির ছাড়াও মালেক ফরাজী, ইসমাইল ও তাজুর নামে তারা মামলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারণে শুধু জহিরকে আসামি রেখে বাকি তিনজনকে মামলা থেকে বাদ দিয়েছে। 

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে মালেক ফরাজী, ইসমাইল ও তাজুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মামলা করেছেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।