বিয়ের প্রলোভনে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে নিরুদ্দেশ প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই গৃহবধূ ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন ওই নারী।

ভিকটিমের সিনিয়র আইনজীবী কাজী মীর হোসেন জানান, বেগমগঞ্জ থানার ছয়ানী ইউপির এক নারী বিয়ের পর মায়ের টাকায় স্বামীকে তিন বছর আগে সৌদি আরব পাঠান। তখন থেকে তার স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এর পর থেকে ভিকটিম শ্বশুরবাড়িতে বয়োবৃদ্ধ শাশুড়ির সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন।

বছর খানেক আগে থেকে আবদুল্লাহ নামে এক যুবক তাকে বিভিন্ন কুপ্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। কিন্তু কোনোরকমেই ভিকটিমকে রাজি করাতে না পেরে ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে ভিকটিমের ঘরে তাকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে বিয়ের মিথ্যা নাটক সাজায়। এরপর থেকে প্রায় সময় তাকে ধর্ষণ করতেন তিনি। এরই মধ্যে ভিকটিম ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ভিকটিম আবদুল্লাহকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে ঘরে উঠিয়ে নিতে বলে। 

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার আবদুল্লাহর বাবা আবুল খায়ের, মা সামছি আকতার, বোন সুমি ও সীমা তাকে পিটিয়ে আহত করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। 

ভিকটিম মঙ্গলবার নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল  ১-এর বিচারক জয়নাল আবেদীনের আদালতে মামলা দায়ের করেন।