সুধারামে জামায়াতের ৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ

নোয়াখালী সদরে একটি স্কুল থেকে গ্রেপ্তারকৃত জামায়াত ইসলামীর ৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পুলিশ বলছে, তারা ওই একাডেমি ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সোনাইমুড়ী উপজেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ হানিফ (৫২), চাটখিল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক (৫২), সেনবাগ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. নুরুল আফসার (৫০), চাটখিল উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মহিউদ্দীন হাসান (৪৮), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলায়েত হোসেন (৫২)সহ ৪৫ জন নেতাকর্মী। গতকাল রোববার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে আটক আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে একই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর এলাকার আল ফারুক একাডেমির দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা সুধারাম থানা এলাকার মাইজদী আল ফারুক একাডেমির দ্বিতীয় তলায় সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক করার জন্য একত্রিত হয়। বৈঠক চলাকালে সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ও সুধারাম থানার ওসি আল ফারুক একাডেমিতে অভিযান চালিয়ে ৪৫ জন জামায়াত ইসলামী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আরও জানান, এ সময় আটকদের কাছে থাকা ধর্মীয় উগ্রতা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের বই উদ্ধার করা হয়। 
প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, ধর্মীয় উগ্রতাকে পুঁজি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার বিরোধী ক্ষতিকারক বেআইনি  কার্যকলাপের প্রস্তুতিমূলক অংশ হিসেবে এই গোপন বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এসপি জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে

ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।