ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফিরিঙ্গির পোলের সংস্কার কি বড় কোন দুর্ঘটনার পর হবে?

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২২  

নোয়াখালীর অতি প্রাচীন একটি সেতু শহরের বুক চিরে চলে যাওয়া সদর পূর্বাঞ্চল সহ কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নানান গন্তব্যে পৌঁছানোর রাস্তায় যার অবস্থান। ফিরিঙ্গি মানে ইংরেজদের তৈরি বলে এর নাম ফিরিঙ্গির পোল (সেতু), স্থানীয় ভাষায় কাছে হেরাঙ্গির হোল নামেই সর্বাধিক পরিচিত।
পূর্বাঞ্চল থেকে নোয়াখালীর মূল প্রশাসনিক শহর মাইজদীতে প্রবেশের জন্য এই সেতুটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। শুনেছি মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নাকি হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী আর তার দোসররা এই সেতুর উপর মুক্তিকামী বাঙ্গালীদের ধরে এনে কখনো জবাই করে, কখনোবা গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে দিতো নীচের প্রবাহমান খালের পানিতে।

বিগত কয়েক বছর ধরে এই সেতুটির অবস্থা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় নাই। অবশ্য কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটবার আগে এদেশে কারো চেতনা জাগে না। এই সেতু নির্মাণ হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি এর কোন সংস্কার করা হয়েছে এমন কোন রেকর্ড আছে বলে মনে হয় না। অন্তত আমি নোয়াখালী থাকাকালীন সময়ে কখনো দেখি নাই। এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন আসা যাওয়া করে যার মধ্যে অনেক ধরনের ভারী পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত গাড়িও রয়েছে। বর্তমানে সেতুটির এমনই দূরাবস্থা যে যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা ঘটে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। সেতুর পিলারগুলো অনেক আগেই তাদের মেয়াদ হারিয়েছে, সেতুর রেলিঙের অবস্থাও যাচ্ছেতাই। মেঝেতেও ফাটলসহ গর্ত হয়ে গেছে কয়েক জায়গাতে।

সড়ক ও জনপথ, নাকি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কে এই জরাজীর্ণ সেতুর দেখভাল করার দায়িত্বে আছে আমার জানা নাই। সেতুটি যেন অসহায় এতিম এক সন্তান যার প্রতি কারোরই কোন নজর নাই। এর বর্তমান যে অবস্থা তাতে করে একে সংস্কার করে আদৌ কোন সুফল আসবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তার পরিবর্তে এখানে নতুন করে একটা সেতু নির্মাণ একেবারে জরুরি প্রয়োজন হয়ে গেছে বলে মনে করি। নোয়াখালীর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি এবার অন্তত এদিকে নজর দিবেন? আমাদের সেতুমন্ত্রী যেখানে বিশাল আকারের পদ্মা সেতু তৈরির পাশাপাশি অসংখ্য ছোট বড় সেতু নির্মাণ নিয়ে রাতদিন অতি ব্যতিব্যস্ত রয়েছেন সেখানে স্বয়ং সেতুমন্ত্রীর নিজ জেলায় এমন একটা জরাজীর্ণ মেয়াদোত্তীর্ন সেতু কি বড্ড বেমানান নয়?