ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনা-রহস্যজনক মৃত্যু, সুবর্ণচরে আতঙ্ক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২২  

সুবর্ণচরে একের পর এক রহস্যজনক মৃত্যুতে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। পাঁচ-ছয় বছরে কেরামতপুর এলাকায় আরও ছয়-সাতটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুটি ঘটনা স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। আর তিনটির বিষয়ে ঝামেলা এড়াতে থানা-পুলিশের আশ্রয়ও নেয়নি ভুক্তভোগীরা। তবে সর্বশেষ বেলাল খুন হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বেড়ে গেছে।

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুরের আলোচিত মো. বেলাল হোসেন (৩২) হত্যাকাণ্ডের সাড়ে তিন মাসেও উদ্‌ঘাটন হয়নি রহস্য। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা।

এ ঘটনায় নিহত বেলাল হোসেনের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী চরজব্বর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৩১ অক্টোবর দুপুরে কেরামতপুর গ্রামের আনিছ মোল্লার বাড়ির পুকুরে বেলাল হোসেনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

মামলায় আসামির কলামে ‘অজ্ঞাত’ উল্লেখ করা হলেও বর্ণনায় নিহত বেলালের স্ত্রী মিনোয়ারা বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চরক্লার্ক গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে শেখ ফরিদের পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার দিনই মিনোয়ারা বেগমকে আটক করে। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

কেরামতপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হাসান জানান, বেলাল হত্যাকাণ্ডের পর সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে একা বের হতেই এখন ভয় লাগে। কেউ একজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। 

এর মধ্যে ২০১৫ সালে মো. আবদুর রহমান ওরফে রুবেলের (১২) লাশ পাওয়া যায় কেরামতপুর গ্রামের বোলন চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়। রুবেল তার নানার বাড়িতে থাকতো। রুবেলের মৃত্যুর ছয়-সাত মাস পর একই বাড়ির পাশে একটি নবজাতকের লাশ পাওয়া যায়। ২০১৭ সালে একই গ্রামের আরেক বেলালের ভগ্নিপতির (৩০) লাশ পাওয়া যায় ঘরের মধ্যে অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায়। সেটি পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়।

এ ছাড়া ২০১৮ সালে (রমজান মাসে) একই গ্রামের ইলিয়াছের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। একই বছর ইলিয়াছের বোন হনুফা খাতুনের লাশ পাওয়া যায় পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সোলেমান বাজারের পাশে। কিন্তু ঝামেলা এড়াতে এই দুটি ঘটনায় পরিবারের কেউ থানা-পুলিশের আশ্রয় নেয়নি বলে জানান মো. হাসান।

সর্বশেষ বেলাল হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চরজব্বর থানার এসআই দিপক চন্দ্র নাথ বলেন, সন্দেহভাজন আসামি মিনোয়ারা বেগমকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন অপর তিন আসামি এলাকাছাড়া। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। মামলার বাদী রফিকুল ইসলামকেও বলা হয়েছে, আসামিদের বিষয়ে খোঁজ-খবর জানানোর জন্য।

চরক্লার্ক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, তিনি কোনো অস্বাভিবক মৃত্যুর ঘটনা শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করেননি। যদি হয়ে থাকে, তাহলে তার আগের মেয়াদের চেয়ারম্যানের আমলে হয়েছে। সর্বশেষ বেলাল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরিয়ে দিতে তিনি নিজেই নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কেরামতপুরে একাধিক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা আইনের আওতায় না আসা এবং সর্বশেষ বেলাল হত্যার বিষয়ে চরজব্বর থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, বেলালের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। সন্দেহভাজন একজন গ্রেফতার আছে, বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

এছাড়া পূর্বের কোনো ঘটনা কেউ যদি পুলিশকে না জানায়, কিংবা কোনো অভিযোগ না করেন, তা হলে থানা পুলিশের কী করার আছে- বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।