ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ছোট ভাই হত্যার দায়ে বড় ভাইয়ের যাবজ্জীবন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

 কবিরহাট উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামে ২০১০ সালে ছোটভাই সামছুদ্দিন ইলিয়াছকে হত্যার দায়ে বড় ভাই ইউছুফ আলী ওরফে মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিকালে জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এ আদেশ দেন।

আদালতের আদেশে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইউছুফ আলীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইউছুফ আলী পলাতক রয়েছেন।

মামলার অপর চার আসামি মৃত মাহবুল হক ওরফে মাস্টার, এনামুল হক ওরফে এনাম, মানিক ওরফে জামাই মানিক ও আবদুল করিমকে এ হত্যা মামলা থেকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সামছুদ্দিন ইলিয়াছ উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন। নিয়মিত মদ, গাঁজা সেবন করে পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন চালাতেন। নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তাকে একাধিকবার কারাগারে ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে পাঠিয়েও তার চারিত্রিক কোন পরিবর্তন ঘটেনি। এসব বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ছোট ভাই সামছুদ্দিন ইলিয়াছকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাদকাসক্ত বড় ভাই ইউছুফ আলী মানিক। ২০১০ সালের ১০ আগস্ট রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরুদ্ধ করে সামছুদ্দিন ইলিয়াছকে হত্যা করেন তার বড় ভাই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ইউছুফ আলী মানিক।

সূত্র জানায়, হত্যার পর পারিবারিকভাবে ডাকাতির ঘটনায় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ইউছুফ আলীসহ অন্যরা প্রচার করেন। এ কারণে পরিবারের কেউ এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে রাজি হননি। পরে কবিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল হক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ভাই ইউছুফ আলী ও মাহবুল হক ওরফে মাস্টারকে গ্রেপ্তার করলে তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

আদালতের স্টেনোগ্রাফার মাসুদ রানা বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একই থানার এসআই মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী মামলার তদন্ত শেষে চারজন আসামির বিরুদ্ধে একই বছরের ১২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৩ জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করেন। দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলী গুলজার আহমেদ জুয়েল। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আবদুল কাদের।