কোভিডের মধ্যেই চীনে নতুন ভাইরাস, আক্রান্ত ৩৫

চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের পর এবার নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ল্যাংগায়া ভাইরাস। এরইমধ্যেই দেশটিতে ৩৫ জন এই নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

চীনা সংবাদমাধ্যম তাইপেই টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটির শ্যানডং এবং হেনান প্রদেশে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

তাইওয়ানের বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই ভাইরাসটি সম্ভবত প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে। মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত কেউ সংক্রমিত হয়নি।

এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মূলত মানুষের গলায় এ ভাইরাস আক্রমণ করে বলে জানা গেছে।

এর আগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ল্যাংগায়া ভাইরাসটি ২০১৯ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম দেখা গিয়েছিল। তবে এ বছর এ ভাইরাস সর্বোচ্চ ব্যক্তি আক্রান্ত হলেন।

এ ভাইরাস সংক্রামক কি না, একজনের থেকে অন্য জনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন চীনা গবেষকেরা। বেজিং ইনস্টিটিউট অব মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড এপিডেমিওলজির গবেষকরা বলছেন, এ ভাইরাসের ক্ষেত্রে মূল উপসর্গ জ্বর। তা ছাড়া কাশি, ক্ষুধামান্দ্য, পেশির ব্যথ্যা, বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা এবং বমির মতো উপসর্গও লক্ষ করা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে।

গবেষণায় জড়িত সিঙ্গাপুরের ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলের ইমার্জিং ইনফেকসাস ডিজিজ প্রোগ্রামের অধ্যাপক ওয়াং লিনফা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত এ ভাইরাস মারাত্মক বা খুব গুরুতর কিছু নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। নিপাহ ভাইরাসের পরিবারেরই সদস্য এ ল্যাংগায়া ভাইরাস।