রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ গড়াল ৬ মাসে, নেই থামার লক্ষণ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে দেশটির সেনারা গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে। চলমান এ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন উভয় দেশের অসংখ্য সেনা সদস্য। রুশ হামলায় ইউক্রেনে প্রাণ হারিয়েছেন হাজারো বেসামরিক লোক। রোববার (২৪ জুলাই) রাশিয়ার এ অভিযান ছয় মাসে প্রবেশ করলেও, এখন পর্যন্ত তা থামার কোনো লক্ষণ নেই।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কবে শেষ হতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভিন্ন ভিন্ন মত দিলেও থামছে না সংঘাত। প্রতিদিনই হচ্ছে হামলা, ঘটছে হতাহতের ঘটনা।

সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, রোববারও (২৪ জুলাই) উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্বে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের কথা জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী। এছাড়া দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুত শহরে আক্রমণের পথ প্রশস্ত করার জন্য রাশিয়ান অভিযানের কথাও উল্লেখ করেছে তারা।  

রোববার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, রাশিয়ানরা ভুলেহিরস্কা পাওয়ার প্ল্যান্টের চারপাশের অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা জোরদার করেছে। অঞ্চলটি দোনেৎস্ক শহরের ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। 

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ স্থায়ী হতে পারে আরও কয়েক বছর। অন্যদিকে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দাবি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কমে যাবে রাশিয়ার যুদ্ধের সক্ষমতা।   

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান কবে শেষ হবে তার তারিখ নির্ধারণ করে ‘কোনো লাভ নেই’। দোনবাস অঞ্চলকে ‘মুক্ত করার’ উদ্দেশ্যও পরিবর্তন হয়নি বলে জানান তিনি। অর্থাৎ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল পুরোপুরি দখলে না নেয়া পর্যন্ত এই সংঘাত যে শেষ হচ্ছে না পুতিনের মন্তব্যে তা মোটামুটি স্পষ্ট।  

ন্যাটোর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কনস্টান্টিনোস লুকোপোলোসের মতে, কিয়েভে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়ে পূর্ব ইউক্রেনে নজর দেয়ার পর রুশ জেনারেলরা ধীরগতিতে তবে দৃঢ়ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।