ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ভারতে নজিরবিহীন কয়লা সংকট, আঁধারে ডুবতে পারে দিল্লি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২১  

নজিরবিহীন কয়লা সংকটে পড়েছে ভারত। অবস্থা এতটাই খারাপ যে, দুদিনের মধ্যে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো কয়লা না পেলে অন্ধকারে ডুবে যাবে দেশটির রাজধানী শহর দিল্লি।

শনিবার (৯ অক্টোবর) এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।

তিনি বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লার সরবারহ ঠিক না হলে অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে দিল্লির একটি বড় অংশ। যেসব কেন্দ্রগুলো দিল্লিতে বিদ্যুৎ সরবারহ করে তাদের এক মাসের কয়লা মজুত থাকা উচিত। কিন্তু হাতে রয়েছে মাত্র একদিনের কয়লা। করোনার সময় অক্সিজেন ঘাটতির মতো এটিও ম্যান মেড।

সত্যেন্দ্র আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। সংকট বানিয়ে সেটি সমাধান করে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

আসন্ন বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। শনিবার তিনি বলেন, কেন্দ্রের কাছে আমাদের অনুরোধ, ওয়াগানের ব্যবস্থা করে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লা সরবারহ করা হোক।

এদিকে সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এই কয়লা সংকট হুট করে নয়, বরং বহুদিন ধরে তিলে তিলে তৈরি হয়েছে। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ধাক্কা সামলে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে।

২০১৯ সালের তুলনায় গত দুই মাসে ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। একই সময় বিশ্ববাজারে কয়লার দাম বেড়েছে অন্তত ৪০ শতাংশ, যার ফলে ভারতীয়দের কয়লা আমদানি দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ভারতে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ কয়লার মজুত থাকা সত্ত্বেও দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা আমদানিকারক। তবে তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রধানত দেশীয় কয়লা ব্যবহার করে থাকে। এটি চাপে থাকা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি বিপদে ফেলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিক পরিমাণে কয়লা আমদানি করে ভারতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চাহিদা মেটানোর আপাতত কোনো সুযোগ নেই।

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় অর্থনীতিবিদ ড. অরুণদ্বীপ নন্দী বলেন, কয়লা ঘাটতি আমরা অতীতেও দেখেছি। কিন্তু এবার যা হচ্ছে তা অভূতপূর্ব।

কয়লা এখন অত্যন্ত ব্যয়বহুল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যদি দামি কয়লা আমদানি করি, তাহলে আমার (বিদ্যুতের) দামও বাড়াবো। দিনশেষে এসব খরচ ভোক্তাদের ওপর দিয়েই যায়। ফলে মুদ্রাস্ফীতির একটি প্রভাব রয়েছে- যা এটি (কয়লা আমদানি) থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়ভাবেই আসতে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিং পরিস্থিতি ‘খুবই অনিশ্চিত’ বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতকে আগামী পাঁচ-ছয় মাস বড় সংকটের জন্য তৈরি থাকা উচিত।