ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঘুমন্ত মানুষের মুখেই চলে উত্তাল যৌনতা! ত্বকেই জন্ম নেয় নতুন প্রাণ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২২  

রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মুখের উপরই পরস্পর সঙ্গমে লিপ্ত হয় এক দল প্রাণী। শুনে চমকে ওঠার মতোই একটি বিষয়। সম্প্রতি ‘মলিকিউলার বায়োলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ নামক মেডিক্যাল পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই গবেষণাটি সম্পর্কে জানা গিয়েছে।

এই অতি ক্ষুদ্রকায় প্রাণীগুলোর নাম ‘ডেমোডেক্স ফলিক্যুলোরাম।’ অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে চাক্ষুষ করতে হয় এমন প্রাণীগুলোর দৈর্ঘ্য ০.৩ মিলিমিটার। মানুষের চুলে এবং মানবদেহের ত্বকের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রাণীগুলোর আস্তানা। ত্বকের কোষে জমে থাকা সেবাম বা তেল এই প্রাণীগুলোর প্রধান খাদ্য। চোখের পলকে, নাক, স্তনবৃন্ত এবং ভ্রু-সংলগ্ন অংশে মূলত এই প্রাণীগুলো আত্মগোপন করে থাকে।

গবেষণা বলছে, মানুষের মতো শারীরিক চাহিদাও এই প্রাণীগুলোর একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। রাত হলে ত্বকের গভীর থেকে বের হয় এরা। খুঁজে নেয় সঙ্গী। আর তার পরেই উত্তাল যৌনতায় মিলিত হয় তারা। সঙ্গম শেষে ডিম পাড়ে। বংশবৃদ্ধি হয়। সেই ভ্রূণগুলো বড় হয়। ত্বকের রন্ধ্রে বাস করে। যৌনতায় লিপ্ত হয়। ডিম পাড়ে। আমৃত্যু চক্রাকারে এই ভাবে আবর্তিত হয়। ৯০ শতাংশ মানুষের মুখেই বসবাস করে এই প্রাণীগুলো।

কীভাবে মানবদেহে প্রবেশ করে এই প্রাণীগুলো?

স্তন্যপান করানোর সময়ে মায়ের স্তনবৃন্ত থেকে এই প্রাণীগুলির দেহের অভ্যন্তরে আগমন। এই ভাবে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে প্রবেশ করে। গবেষকরা বলছেন, এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণীগুলো ত্বকের কোষ পরিষ্কার রাখে। তবে এই প্রাণীগুলো ধীরে ধীরে অবলুপ্তির পথে হাঁটছে। তার অন্যতম বড় কারণ হল ‘ইনব্রিডিং’।

একই মানুষের দেহে প্রজনন এবং ওই ব্যক্তির মৃত্যুর আগে পর্যন্ত প্রায় ১২০০ প্রজন্ম পর্যন্ত বংশবৃদ্ধি করে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে এই প্রাণীগুলোকে রক্ষা করত যে ডিএনএ-সেটিও এই ইনব্রিডিং-এর ফলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই কারণে দিনের বেলা ত্বকের রন্ধ্র ছাড়া এরা বেরোতে পারে না।

গবেষকদের মতে, এই প্রাণীগুলো যত বেশি মানবদেহে নিজেদের অভিযোজিত করবে, তত এই প্রাণীগুলো রন্ধ্র থেকে বেরোনোর ক্ষমতা হারাবে। ফলে সঙ্গমেও লিপ্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে না। হবে না বংশবৃদ্ধিও।