ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ইতিহাসের ভয়াবহ সব বন্যা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২  

ইতিহাসে বারবার ভয়াবহ সব বন্যার সাক্ষী হয়েছে পৃথিবীর একাধিক দেশ। ইতিহাসের তেমন কিছু ভয়াবহ বন্যা নিয়ে আজকের লেখা।   

চীনে বন্যা: 

ইতিহাসে কয়েকটি ভয়াবহ বন্যা হয়েছে চীনে। অবিরাম বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে ১৯৩১ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ইয়াংজি ও হুয়াই নদীর পানি উপচে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে ১০ লাখ এমনকি অনেকের মতে ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৩৮ সালে চীনেরই ইয়েলো রিভারের বন্যায় প্রায় আট লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

জোনসটাউন বন্যা: 

১৯৮৯ সালের ৩১ মে, দিনের শুরুটা ছিল অন্য দশটা সাধারণ দিনের মতোই। কিন্তু মাসের শেষ বিকালটা যে এমন হবে, তা ভাবতে পারেনি কেউ। কারো ধারণাতেও ছিল না পেনসিলভানিয়ার লেক কনেমাঘের বাঁধ ভেঙে শহরের দিকে ধেয়ে আসছে ৪০ ফুট উঁচু এক জলোচ্ছ্বাস। এতে এক ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যায় সম্পূর্ণ জোনসটাউন। এই ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ হারায় কমপক্ষে দুই হাজার মানুষ, ধ্বংস হয়ে যায় এক হাজার ৬০০ ঘরবাড়ি। দুর্বল বাঁধ নির্মাণের কারণেই এমনটা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

গ্রোট মেনড্রেক: 

১৩৬২ সালের গ্রোট মেনড্রেক নামক বন্যা ছড়িয়ে পড়েছিল সারা ইউরোপে। এ বন্যা প্রথম আঘাত করে ইংল্যান্ডে, যদিও এর ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি ছিল নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক আর জার্মানিতে। প্রায় লাখ মানুষ এ বন্যায় ডুবে যায়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ বন্যা ইউরোপের উপকূলীয় অঞ্চলকে নতুন রূপ দিয়েছিল।

সিন্ধু উপত্যকার বন্যা:

১৮৪১ সালের প্রথম দিকে বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু উপত্যকায় এক ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যার ফলে নাগা পর্বতে সৃষ্ট পাহাড়ধসে সৃষ্টি হয় প্রাকৃতিক এক লেকের। কিন্তু প্রকৃতির ক্রমাগত বদলে সেই বছরের জুনেই সে লেকের বাঁধ ভেঙে ধেয়ে আসে এক ভয়ঙ্কর জলোচ্ছ্বাস, যার ঢেউ ছিল প্রায় ১০০ ফুট উঁচু। এতে ধ্বংস হয়ে যায় সেখানকার কয়েকশ গ্রাম। মারা যায় সেখানে অবস্থানরত প্রায় ৫০০ শিখ সেনা।

আরকানসাসের বন্যা: 

১৯২৭ সালে মিসিসিপি নদীর বাঁধ ভেঙে যে বন্যার সৃষ্টি হয়, তা ছিল আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মিসিসিপি, আরকানসাসের লুইজিয়ানা। মারা যায় প্রায় ২৫০ মানুষ এবং ঘরছাড়া হয় প্রায় ১০ লাখ মানুষ, যা তখনকার মার্কিন নাগরিকদের ১ শতাংশ।

ইতালির মহাপ্লাবন: 

ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে আরনো নদীতে যে মহাপ্লাবন আসে, তা ইতালির জন্য ছিল ভয়াবহ। প্লাবনের সঙ্গে ফ্লোরেন্সের রাস্তা ঢেকে যায় প্রায় ১৮ মিলিয়ন গ্যালন কাদায়। এই প্লাবনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইতালির রেনেসাঁ যুগের কিছু শিল্পকর্ম। ইতালিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আর্ট গ্যালারি আর লাইব্রেরিগুলোও ধ্বংসের মুখে পড়ে। নষ্ট হয়ে যায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ বই।

ব্রিটেনের মহাপ্লাবন: 

১৬০৭ সালের মহাপ্লাবন কেন হয়েছিল, তা এখনো সঠিকভাবে বলতে পারেন না ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা। বছরের শুরুতেই হঠাৎ সাগরের ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যায় ২০০ বর্গমাইল উপকূলীয় এলাকা। ভেসে যায় ২০টি গ্রাম। ধারণা করা হয়, সাগরে সৃষ্ট সুনামির কারণে এই ভয়াবহতা। এতে মারা যায় অন্তত দুই হাজার মানুষ। সামারসেট অঞ্চলে প্রায় ১৫ মাইল এলাকা সাগরে তলিয়ে যায় এবং প্লাসটনবারি পাহাড় দ্বীপে পরিণত হয়।

ভারতের জম্মু-কাশ্মীর বন্যা: ২০১৪ 

জনবহুল ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে ২০১৪ সালে ভয়াবহ এক বন্যা দেখা দেয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২৮০টি গ্রাম। এ বন্যাকে বলা হয় ভারত-পাকিস্তান বন্যা। বৃষ্টিসৃষ্ট বন্যাটির কারণে হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। গৃহহীন হয় হাজার হাজার মানুষ।

বাংলাদেশে বন্যা

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয় ১৯৭৪ সালে। মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্যার কারণে সরকারি হিসেবে ২৮ হাজার ৭০০ জন মারা যায়। তবে বেসরকারি হিসেবে কলেরা, ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ও দুর্ভিক্ষে এ সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ ছাড়িয়েছিল।