ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

১ জুন ১৯৭১: মন্দভাগে মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণে পাকবাহিনী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২১  

পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায় পাকিস্তান সরকার এদিন এক পশ্চিম জার্মান সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারে যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র নামে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ সরকারের একটি বেতার কেন্দ্র চালু হয়েছে। পূর্বে এই বেতার আগরতলায় ১ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল।

এদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মাওলানা এ কে এম ইউসুফ এর নির্দেশে রাজাকারদের নিয়ে শরণখোলা থানার দোতলা বিল্ডিং এ ক্যাম্প স্থাপন করে এবং শরণখোলার আওয়ামী লীগ ও ভাসানী ন্যাপের নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, নির্যাতন, হত্যা, তাদের বাড়ীঘর লুটপাট ও দখলের রাজত্ব কায়েম করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে পাকবাহিনী কুমিল্লার মন্দভাগ ও শালদা নদী এলাকার অবস্থান ফেলে নয়নপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে তাদের নতুন ঘাঁটি স্থাপন করলে মন্দভাগ ও শালদা নদী মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। গোপালগঞ্জের রাজপুরে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়। তৎকালীন চট্টগ্রাম বিভাগে রাজপুরই সর্বপ্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

মুক্তিবাহিনীর চাঁদগাজী প্রতিরক্ষা ব্যুহের দায়িত্বে ক্যাপ্টেন অলির স্থলাভিষিক্ত হন ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা। ঝালকাঠিতে রাজাকার বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। পুলিশ ও রাজাকার বাহিনী ঝালকাঠির নলছিটি থানার বিরাট গ্রাম থেকে বরিশাল আদালতের এ্যাডভোকেট জিতেন্দ্রলাল দত্ত, তার পুত্র সাংবাদিক মিহিরলাল দত্ত, সুধীরলাল দত্তসহ বিপুল সংখ্যক লোককে ধরে নিয়ে পাকসেনাদের কাছে সোপর্দ করে। ময়মনসিংহে পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর গোপন ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ চালায়। অপরদিকে পাকসেনারা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বহু তরুণকে গ্রেফতার করে এবং বহু নিরীহ মানুষকে বর্বর পৈশাচিকতায় নিহত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. এম এন হুদা, ড. এ বি এম  হাবিবুল্লাহ, ড. এম ইন্নাস আলী, ড. এ কে নাজমুল করিম, ড. মফিজুল্লাহ, কবির, অধ্যাপক আতিকুজ্জামান খান, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ড. কাজী দীন মুহাম্মদ, ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, ড. নীলিমা ইব্রাহিম, ড. এস এম আজিজুল হক, ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ড. এ কে রফিকুল্লাহসহ প্রায় সকল শিক্ষক কাজে যোগদান করেছেন। পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা নুরুজ্জামান ঢাকার দিলকুশায় ‘শান্তি কমিটি’ গঠন করেন। ৩০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক মনোনীত হন জামশেদ আলী ও আমীর বকশ।