ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে যেসব যোগ্যতা লাগে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২১  

সুইস ব্যাংক কর্পোরেশন—বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত ও রহস্যময় অর্থ রাখার জায়গা। সারা দুনিয়ার ধনী এবং বিখ্যাত লোকজন তাদের টাকা রাখার জন্য এই ব্যাংককেই পছন্দ করেন। এর নেপথ্যে রয়েছে গ্রাহকের গোপনীয়তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সুইস ব্যাংকের সুনাম। কে কত অর্থ জমা রেখেছে, সেই তথ্য সুইস ব্যাংক পারতপক্ষে ফাঁস করবে না।

সুইস ব্যাংক নামে আসলে একক কোনো ব্যাংকই নেই। তাহলে সুইস ব্যাংক আসলে কী? সুইজারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সব কাজের নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত এমন সব প্রতিষ্ঠানের তদারকি করে সুইস ফিনান্সিয়াল মার্কেট সুপারভাইজারি অথরিটি (এফআইএমএনএ) ও সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের অধীনে যত ব্যাংক আছে তাদের সবগুলোকে একসঙ্গে সুইস ব্যাংক বলা হয়। বর্তমানে সুইজারল্যান্ড তিনশ’র বেশি ব্যাংক রয়েছে।

সুইচ ব্যাংকের ইতিহাস

ইতিহাস বলছে, এ ঘটনা জানতে যেতে হবে আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে। তখন সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকে গোপন অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা জমা রাখার ব্যবস্থা ছিল। ফ্রান্সের রাজাদের সঞ্চিত অর্থ গোপন রাখার প্রবণতা থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হয়। তবে সপ্তদশ শতকে ইউরোপের বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ ব্যবসায়ীরা পাড়ি দেন সুইজারল্যান্ডে। জেনেভাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল সেই সময়।

 

সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরেই আছে একশ’র বেশি ব্যাংক রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরেই আছে একশ’র বেশি ব্যাংক রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

 ১৭১৩ সালে ট্রেড কাউন্সিল অব জেনেভা ব্যাংকিং-এর নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। যে নীতির মূল কথাই ছিল, গ্রাহক ছাড়া অন্য কারো কাছে অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানানো যাবে না। শুধু তাই নয়, এই নীতিমালায় যারা কর ফাঁকি দেন, তাদেরও সুস্পষ্টভাবে ছাড় দেয়া হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।

১৭৪১ সালে অনুষ্ঠানিকভাবে সুইজারল্যান্ডের প্রথম ব্যাংক ‘ওয়েজলিন এবং কোং’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পরে ১৮৫৪ সালে ৬টি ব্যাংক মিলে একই ছাতার তলায় সমবেত হয়ে একটি যৌথ সংগঠন তৈরি করে।

কারা অ্যাকাউন্ট খোলেন

সিনেমা, থ্রিলার উপন্যাসে কিংবা মিডিয়ায় বহুল প্রচলিত একটি ধারণা হচ্ছে, সুইস ব্যাংকগুলোতে বেনামী বা অনামী (অ্যানোনিমাস) অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। আমরা ভাবি হয়তো বিত্তশালী ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ নেতা কিংবা কুখ্যাত মাফিয়ারাই শুধুমাত্র এই ব্যাংকের গ্রাহক হতে পারেন। কিংবা সেসব মানুষ, যারা নিজের কালো টাকার খোঁজ-খবর কাউকে জানতে দিতে চান না। কিন্তু বাস্তবে এটি সত্য নয়।

 

সুইজারল্যান্ডে ব্যাংকে গোপনীয়তার আইন আগে থেকে প্রচলন ছিল। ছবি: সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডে ব্যাংকে গোপনীয়তার আইন আগে থেকে প্রচলন ছিল। ছবি: সংগৃহীত

সুইস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের সাইটে বলছে, বেনামী অ্যাকাউন্ট বলে কিছু সুইটজারল্যান্ডে নেই। কোনো ব্যাংক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টটি হয়তো কেবল সংখ্যা দিয়েই চিহ্নিত করা থাকবে, কিন্তু এই গ্রাহকের আসল পরিচয় ব্যাংকের খুবই অল্প কয়েকজন কর্মকর্তা অবশ্যই জানবেন। আপনিও চাইলে সুইস ব্যাংকগুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

অ্যাকাউন্ট খুলতে কী যোগ্যতা লাগে

সুইস ব্যাংকগুলোতে কেউ যদি নাম্বারড অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। এছাড়া বেশ কিছু ফর্মালিটিজ আছে, সেগুলোও পূরণ করতে হবে। নাম্বারড অ্যাকাউন্টে প্রাথমিক অবস্থায় কমপক্ষে এক লাখ ডলার ডিপোজিট করতে হবে। আর বছরে শুধুমাত্র অ্যাকাউন্ট মেইনটেইনেন্সের জন্য ৩০০ ডলার গুনতে হবে!

শুধু অবৈধ অর্থ রাখা কিংবা অর্থের গোপনীয়তাই সুইস ব্যাংকগুলোতে অ্যাকাউন্ট খোলার মূল উদ্দেশ্য নয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট খোলার পর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হয় গ্রাহককে, সেই অর্থের পরিমাণ অবশ্য ব্যাংক ভেদে ভিন্ন হয়। তবে এই ব্যাংকে টাকা রাখলে সুদ পাবেন না। বরং আপনাকে ০.৭৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে।

প্রতিদিনের লেনদেন করার উদ্দেশ্য যদি অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তাহলে কিন্তু সুইস ব্যাংক সেই অনুমতি দেবে না। খোলা বাজারে এইরকম লেনদেনের মাধ্যমে গ্রাহকের গোপনীয়তা ভঙ্গ হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। তবে আপনি যদি আপনার কষ্টার্জিত অর্থ সুরক্ষিতভাবে সঞ্চয় করতে চান, তাহলে ব্যাংকগুলোর কাছে যেতে পারেন।