নোবিপ্রবির ৩ ছাত্রীর নাচ ভাইরাল

নাচে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। শিশুকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কখনও নাচের প্রাকটিস করেননি বা নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। তবুও এক ঘণ্টা অনুশীলন করে গানের সঙ্গে নেচে ভাইরাল হলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষার্থী। তারা শুধু সহপাঠীই নন, পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। 

৯০ দশকের তুমুল জনপ্রিয় ‘বাড়ি মুশকিল’ হিন্দি গানে নেচে ভাইরাল হলেন শাজনীন মীম, সুইটি ভৌমিক ও নাদিয়া হাসান। 

শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে শাজনীন মীম নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে পোস্ট করেন। পরে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ৩ ছাত্রীর অংশগ্রহণে ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আবাসিক হলের সামনের সড়কে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি নাচের এমন চর্চা নিয়ে নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ওই শিক্ষার্থীরা।

সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাজনীন মীম, সুইটি ভৌমিক ও নাদিয়া হাসান নৃত্য পরিবেশন করেন। তারা কেউই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নাচের প্রশিক্ষণ নেননি।

ভিডিওটির মন্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান ইমন লেখেন, ‘মনে হচ্ছিলো মুভির গান দেখছি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, ‘নৃত্যশিল্পী না হয়েও তারা যেটা পারফর্ম করেছে, তা সত্যিই অবাক করার মতো।’ 

সামিহা সাইদ তিতি বলেন, ‘উনারা আমাদের বিভাগের সিনিয়র আপু, নাচের ভিডিওটি দেখে খুবই ভালো লেগেছে।’ 

এ বিষয়ে শাজনীন মীম বলেন, ‘আমাদের হঠাৎ ইচ্ছা হলো একটা নাচের ভিডিও বানাবো এবং বানিয়ে ফেললাম। মাত্র ১ ঘণ্টা প্র্যাকটিস করেছি আমরা। আমরা কেবল চেষ্টা করেছি। আমাদের কাছে ভালো লাগছে।’ 

নাচে অংশ নেওয়া সুইটি ভৌমিক বলেন, ‘নাচে প্রশিক্ষণ নেই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকি। হলের সামনের সড়কটা অসাধারণ। তাই অনেকে এখানে ছবি তুলতে আসে। আমরা চিন্তা করলাম এখানে একটা নাচের ভিডিও বানালে কেমন হয়? বলতে বলতে ভিডিও বানিয়ে ফেললাম। আমরা নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের আকর্ষণীয় স্থান তুলে ধরতে পেরে খুশি।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তচিন্তা ও সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের স্থান। আমরা একাডেমিক শিক্ষার বাইরে শিক্ষার্থীদের বাড়তি কার্যক্রম হিসেবে অভিনয়, নাচ, গান, আবৃত্তি ও খেলাধূলায় উদ্ধুদ্ধ করি। শিক্ষার্থীদের পূর্ণ বিকাশের জন্য এটি সহায়ক।’