ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রিয় স্থান বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ভেন্যু নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ- চায়না এক্সিবিশন সেন্টারে এ বছর বসেছে মাসব্যাপী এ মেলার ২৬ তম আসর। 

এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এবার দেশি-বিদেশি ২২৫ টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এ মেলায় স্টলের সংখ্যা অনেকটা কম। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ও শুক্র ও শনিবার সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে এ মেলা। 

তবে এবারের মেলায় নতুন প্রজন্মদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। মেলায় মূল ভবনের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকলে প্রথমেই দেখা যায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। এ প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিভিন্ন আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অনেক বই।  দূর-দূরান্ত থেকে আগত স্কুল- কলেজ পড়ুৃয়া ছেলে মেয়েদের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি স্থান হয়ে উঠেছে। 

প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিভিন্ন আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী মেলা দেখতে ও তাদের পছন্দমত পণ্য সামগ্রী কিনে নিতে এখানে আসছে। তবে এবারের মেলায় নতুন প্রজন্ম স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। মেলায় আসা ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন ছবি, রাজনৈতিক ইতিহাস, আলোকচিত্র মনোযোগ সহকারে দেখতে দেখা গেছে।

মেলায় মূল ভবনের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকলে প্রথমেই দেখা যায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। এ প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিভিন্ন আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

নরসিংদী থেকে আসার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বাণিজ্য মেলায় যেভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনী যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যদি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ আলোকচিত্র দিয়ে সাজানো যেত, তাহলে নতুন প্রজন্ম খুব সহজেই এ মহান নেতা সম্পর্কে জানতে পারতেন। এভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’

কাঞ্চন থেকে আসা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাত সুলতানা প্রাপ্তি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তিনি দেশের জন্য যা করে গেছেন, তা বাঙালি জাতি ভুলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সরাসরি শুনতে না পারলেও আমার পূর্ব পূর্বপুরুষরা তা শুনে ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল হানাদারদের বিরুদ্ধে।  বাণিজ্য মেলায় এসে ৭ মার্চের জনসভার আলোকচিত্রের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি। খুব ভালো লেগেছে। 

মেলায় মূল ভবনের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকলে প্রথমেই দেখা যায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। এ প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিভিন্ন আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

পলাশ থেকে আসা আল আমিন বলেন, মেলায় প্রবেশের পরপরই প্রধান গেটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতির ওপর তৈরি প্যাভিলিয়ন দেখতে পেলাম। বিগত সময়ে এটা ছিল না। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না, সেই মহানায়ক সম্পর্কে পরবর্তী প্রজন্মকে জানাতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে।

এ ব্যাপারে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানার জন্য এবারের মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন করা হয়েছে। প্রতিদিন এখানে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়ে বেশি আসে। তাছাড়া মেলায় নিরাপত্তার জন্য সর্বাত্বক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।