ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থ আত্মসাতের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য গ্রেপ্তার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২১  

কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতিসহ অন্যান্য প্রতারণার অভিযোগ এনে কুমিল্লা আদালতে মামলা করেছিলেন একাধিক ভুক্তভোগী। এর ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মনিরুল ইসলাম উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বারুর গ্রামের মো. ইব্রাহীম মুন্সির ছেলে। দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহরাব হোসেন ভূইয়া গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রতারক মনিরুল ইসলামকে আটকের খবর পেয়ে শনিবার সকালে ১০/১২ জন ভুক্তভোগী দেবিদ্বার থানার সামনে জড়ো হন।

ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম ও শামসুর রহমান জানান, মনিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী লাকি আক্তার দেবিদ্বার থানার গেইট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি উচ্চমহলের মানুষের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সবার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। মনিরুল ইসলাম আমাদের জানান, সেনাবাহিনীতে চাকরির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জেলার সেনা দপ্তরে সরকারি রেশন সাপ্লাই করেন। তাঁর কাছে বিনিয়োগ করলে দ্বিগুণ মুনাফা হবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে থানার গেইট এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ও স্বর্ণ অলংকার নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

অপর ভুক্তভোগী মো. আমির হোসেন আমু বলেন, ‘গুদাম থেকে রেশন কিনে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে তা সাপ্লাই করে দ্বিগুণ মুনাফা দেবেন বলে তাঁর স্ত্রী লাকি আক্তার আমার কাছ থেকে কয়েক দফায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর তারা পালিয়ে যান এবং গত এক বছর ধরে পলাতক ছিলেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করার খবর শুনে থানায় এসেছি, আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।’

দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.সোহরাব হোসেন ভূইয়া বলেন, মনিরুল ইসলাম সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীতে থাকাবস্থায় তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে সরকারি রেশন ব্যবসার মাধ্যমে অধিক মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পরে টাকা না পেয়ে লোকজন আদালতে মামলা করতে শুরু করলে তিনি দ্রুত সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন এবং স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সে একজন কৌশলী প্রতারক। আদালতে তার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। শনিবার দুপুরে মনিরুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।