ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

৯০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ প্রস্তাব ভারতীয় কোম্পানির

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২৩  

বাংলাদেশের বাজার ধরতে প্রায় ৯০ হাজার কোটি রুপির বিনিয়োগ আনার পরিকল্পনা করেছে ভারতের একটি গোষ্ঠী, যারা বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারের সবুজসংকেত পাওয়ার আগে নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক নাম প্রচার করতে চাইছে না। ওই গোষ্ঠীর ভারতীয় প্রতিনিধি রাজিবনাথ রায় হোয়াটসঅ্যাপে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, তারা তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাবের ‘ব্লু প্রিন্ট’ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাতে চান। এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মেইল পাঠিয়ে সাক্ষাতের সুযোগ চেয়েছেন। যদি তারা সাক্ষাতের সুযোগ পান, তখন তারা তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনাটির বিস্তারিত প্রকাশ করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যে মেইল পাঠানো হয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত প্রতিবেদনের ‘বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় কোম্পানির সম্ভাবনা’ অংশে ‘পতঞ্জলি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ রয়েছে।

‘পতঞ্জলি’ ভারতের হরিদ্বারে অবস্থিত একটি বহুজাতিক কোম্পানি, ২০০৬ সালে যেটি ভারতের যোগগুরু রামদেব ও বালকৃষ্ণ প্রতিষ্ঠা করেন। দেশটিতে রামদেবের বহু ভক্ত রয়েছেন, যারা পতঞ্জলির পণ্য ব্যবহার করে থাকেন। হিন্দুস্তান টাইমসের গত বছরের সেপ্টেম্বরে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যোগগুরু থেকে বিজনেস টাইকুন, মাত্র পাঁচ বছরে ৫০ হাজার কোটি রুপির বাজার মূল্য ছুঁয়ে ফেলল বাবা রামদেবের পতঞ্জলি ফুডস। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পতঞ্জলি ফুডস দিয়ে ভারতে খাদ্যপণ্যের মার্কেট শেয়ার বাড়ালেও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পণ্যের মধ্যে আয়ুর্বেদ, ভেষজ এবং বিউটি ও স্কিন কেয়ার উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও ব্যক্তি পরিচর্যার এই বাজারটি ধরতে চাইছে ভারতীয় কোম্পানি।

 

বাংলাদেশে ‘পতঞ্জলি’র উৎপাদিত হেলথ কেয়ার ও স্কিন কেয়ার পণ্যের সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে স্কিন কেয়ার মার্কেটের আকার ছিল প্রায় ১ দশমিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৭ সালে বেড়ে ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে (স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ২২ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা)।

প্রতিবেদন বলছে, প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে চিকিৎসা সেবা নিতে যায়, যেখানে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না থাকার কারণে বিপুল পরিমাণ এই অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল বা চিকিৎসাব্যবস্থা স্থাপনের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবার ৫ শতাংশ ধরতে পারলেও মার্কেট শেয়ারের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় ‘পতঞ্জলি’ তার উৎপাদিত আয়ুর্বেদিক ওষুধসামগ্রী, নেচারাল হেলথ কেয়ার, প্রাকৃতিক ও ভেষজ পণ্য, বিউটি ও স্কিন কেয়ার পণ্য এবং গৃহস্থালি ভোগ্যপণ্য দিয়ে এই মার্কেট শেয়ারটি ধরতে পারে বলে মেইলের সঙ্গে যুক্ত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে যিনি কথা বলেছেন, সেই রাজিবনাথ অবশ্য ‘পতঞ্জলি’র বিষয়টি স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, আমি ‘পতঞ্জলি’র প্রতিনিধি নই বা ওই কোম্পানিটির নামও স্বীকার করছি না। আমরা যে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে কথা বলছি, সেখানে ভারতীয় কোম্পানি ছাড়াও আরও অনেক কোম্পানি (জয়েন্ট ভেঞ্চার) থাকতে পারে। ভারতীয় বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো মেইলে যে তিনজনের নাম উল্লেখ আছে তাদের মধ্যে দুজন ভারতীয় এবং অপরজন বাংলাদেশি।

দুই ভারতীয় হচ্ছেন রাজা মুখার্জি ও রাজিবনাথ রায়। বাংলাদেশি সুজন সরকার সবুজ। মেইলে তারা নিজেদের ‘বিদেশি ও আন্তসীমান্ত বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। মেইলে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরে বাংলাদেশি প্রতিনিধি সুজন সরকার সবুজের সঙ্গে গতকাল বিকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি ১০ মিনিট পর এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান। আলোচ্য সময়ের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে যখন ফিরতি কল আসে, তখন ওপাশে যিনি কথা বলছিলেন- তিনি নিজেকে মেইলে উল্লিখিত তিনজনের একজন ‘রাজিবনাথ রায়’ বলে পরিচয় দেন।

রাজিবনাথ বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় বাজার, যেখানে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি দ্রুতগতিতে মাথাপিছু আয় বাড়ছে। প্রায় ১৬ কোটি ভোক্তার বর্ধনশীল এই বাজারে তারা ভারতীয় বিনিয়োগ আনতে চান। তিনি বলেন, যদি তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ আনতে পারেন এবং সেখানে কারখানা স্থাপন হয়, তবে ওই কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ভারতের সেভেন সিস্টার্স, পশ্চিম বাংলা এমনকি উড়িষ্যায় রপ্তানির বিষয়টিও তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমতি দিলে তারা ১৮ মাসের মধ্যে বাংলাদেশে ৯০ হাজার কোটি রুপির বিনিয়োগ নিয়ে আসবেন। এটি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই), যৌথ বিনিয়োগ এবং সরকারি- বেসরকারি বিনিয়োগ বা পিপিপি যে কোনোভাবেই আসতে পারে।