ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা ২১ বছর ধরে ভেঙে পড়ে আছে সেতু, ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমপি বাহারের বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দেখছেন গভীর উদ্বেগের সঙ্গে মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন
  • মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মোংলা নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য জরিপ শুরু

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২২  

এক পাশে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর, অন্য পাশে মোংলা শহর। মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ব্যস্ততম মোংলা নদী। যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। অবশেষে সেই দাবি পূরণে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। চলছে জরিপকাজ। এই জরিপের ওপর ভিত্তি করে মোংলা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেতু বিভাগের সার্ভেয়ার কো-অর্ডিনেটর মো. হাফিজুর রহমান অন্তর। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে এই জরিপ চালানো হচ্ছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা ও বাগেরহাট জেলার একটি ব্যস্ততম নদী ‘মোংলা’। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ২৪৫ মিটার। গতিপথ আঁকাবাঁকা। বাগেরহাট জেলার পশ্চিম দিকের অনেকগুলো খাল বিশেষত কুমারখালী নদী, ফয়লা নদীর জলধারা রামপাল উপজেলার কাছে একত্রিত হয়ে মোংলা নাম ধারণ করেছে। আপাতত নদীটি আরো দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বন্দরনগরী মোংলার পাশে পশুর নদেতে মিশেছে। নদীটির উজানের তুলনায় ভাটির দিক অধিক প্রশস্ত। নদীতে সারা বছর পানি প্রবাহ থাকে এবং ছোট-বড় নৌযান চলাচল করে। এই নদী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রথম শ্রেণির নৌপথ হিসেবে স্বীকৃত। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক মোংলা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর-৭২।

গত ৪ জানুয়ারি থেকে সেতু কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা মাঠপর্যায়ের পর্যবেক্ষণসহ নানা রকম তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন তৈরি করছেন। এদিকে সেতুটি নির্মিত হলে আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে বলে জানান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, ব্যবসায়ী হেমায়েত উদ্দীন ও মশিউর রহমান। তারা বলেন, সেতুর মাধ্যমে এপার-ওপারের মানুষের মধ্যে বন্ধন তৈরি হবে। যাতায়াত, পণ্য পরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। নদীর ওপারে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত নৌবাহিনীর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র শেখ রফিক বলেন, ‘বর্ষাকালে নৌকায় করে এই নদী পার হতে প্রচণ্ড ভয় লাগে। আবার অনেক সময় ঘাটে মাঝি না থাকায় কলেজে যেতে দেরি হয়, ক্লাস বাদ যায়। এখানে একটি সেতু হলে আমাদের অনেক উপকার হবে।’ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ও সোহাগ মোল্লা বলেন, নদীতে জোয়ার না থাকলে একমাত্র ফেরিটি বন্ধ থাকে। এটি পণ্য পরিবহনের বড় বাধা। অনেক সময় পচনশীল পণ্য গাড়িতেই নষ্ট হয়।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) মো. লিয়াকত আলী বলেন, মোংলা নদীতে সেতু নির্মাণ করার জন্য সেতু কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন এর জন্য প্রাথমিক জরিপ চলছে। জরিপের প্রতিবেদন হাতে এলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।