ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পুলিশ বিভাগে তীব্র ক্ষোভ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২১  

নির্বাচনকালীন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার সভাও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অনুমতি নিয়ে করার মৌখিক নির্দেশনা দেওয়ায় পুলিশ বিভাগে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, সদ্য অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এক দিন আগে একটি জেলায় পুলিশ সুপার থানাসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করছিলেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্দেশনা আছে, সেগুলোর ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। কোন থানা এলাকায় পরিস্থিতি কেমন, তা সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদের কাছ থেকে জানতে চান। সভা চলাকালে একটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা ফোন করে ঐ এসপিকে বলেন, ‘নির্বাচনকালে ডিসির অনুমতি ছাড়া কোনো সভা করবেন না।’
 
উত্তরে এসপি বলেন, ‘পুলিশের কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য, কোন কোন জায়গায় কী ধরনের অবস্থা বিরাজ করছে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে কি না-এসব ব্যাপারে আমি পুলিশ সদস্যদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। কোথায় কী সমস্যা তা আমি পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের থেকেই তো জানছি। একই সঙ্গে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছি।’ 

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বিভাগে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, একশ্রেণির আমলা বেশি খবরদারি করছেন- যা ঠিক নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের দায়িত্ব। কোথাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পুলিশ কী ডিসিদের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করবে? ততক্ষণে ঘটনা ঘটেই যাবে। তাদের এ ধরনের আচরণ কীসের আলামত? 

সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির নির্দেশে পুলিশ হেডকোয়ার্টার গেজেট করা হয়। এই আদেশের বলে দীর্ঘদিন পুলিশ হেডকোয়ার্টার হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে চিঠিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা কার্যক্রম চলে আসছিল। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির সেই আদেশটি কার্যকর না করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা অধিদপ্তর হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আপত্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্দেশনার গেজেটসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। হঠাৎ করে ঐ কর্মকর্তার কেন মনে জাগল, এটাকে হেডকোয়ার্টার বলা যাবে না, এটাকে অধিদপ্তর বলতে হবে। এটা নিয়েও পুলিশের মধ্যে ক্ষোভ আছে। কারণ, রাষ্ট্রপতির নির্দেশ বাতিল করার ক্ষমতা ঐ কর্মকর্তার নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এটার সুরাহা হয়নি। এখন নতুন করে আরেকটি সমস্যার সৃষ্টি হলো। আমলাদের মধ্যে একটি গ্রুপ দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। 

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, সবার যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। উভয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকবে। একক কর্তৃত্ব দেখানো উচিত নয়। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, নির্বাচনকালীন জেলা প্রশাসনসহ সব প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এখানে কারোর কোনো কর্তৃত্ব নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার পুলিশ প্রধান হিসেবে এসপি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত মিটিং করতেই পারেন। এক্ষেত্রে অন্য কারো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।