ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

লাশের সঙ্গে ফেলে রাখা নাজিম এখনও ঘুমাতে পারেন না

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২১  

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৭ বছর পেরিয়ে গেছে। ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান অনেকে। তাদের জীবন কেটে যাচ্ছে জীবনের নিয়মে। এর সঙ্গে বুকচাপা কষ্টও আছে, চোখ থেকে ঝরে জল। বিশেষ করে বছর ঘুরে ২১ আগস্ট এলে হাহাকারে ডুবে যান তারা। তেমনি একজন নাজিম উদ্দিন। ভয়ংকর সেই বিকেলে মৃত ভেবে লাশের সঙ্গে ফেলে রাখা হয়েছিল তাকে। সেই ঘটনা মনে পড়লে এখনও রাতে ঘুমাতে পারেন না তিনি।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আকবরনগর গ্রামের মফিজ উদ্দিন মেম্বারের ছেলে আওয়ামী লীগের কর্মী নাজিম উদ্দিন এখনও কেঁদে উঠেন সেদিনের ভয়াবহতার কথা মনে পড়লে। প্রতিদিন শরীরে ব্যথা যন্ত্রণা নিয়ে বছরের পর বছর কাতরাচ্ছেন তিনি। এই ব্যথা আর কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। তাই তার মনে হয় সেদিন মরে গেলেই ভালো হতো!

সেদিনের বিভীষিকা এখনও তাড়া করে ফেরে ভৈরবের নাজিম উদ্দিনকে। মৃত্যুর কত কাছ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। গুরুতর আহত নাজিমকে চিকিৎসকরাও মৃত ভেবে লাশের সঙ্গে ফেলে রেখেছিল। তবে তিনি জীবন ফিরে পান অলৌকিকভাবে। প্রাণে বেঁচে গেলেও নাজিম উদ্দিন এখন ভোগ করছেন অসহ্য যন্ত্রণা। পায়ে ও বুকে অসংখ্য স্প্লিন্টার আর ক্ষতচি‎হ্ন বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।

বর্তমানে তার বুকে ও ২ পায়ে অসংখ্য স্প্লিন্টার রয়েছে। শীতকালে ভোগান্তিটা হয় বেশি। দেহে স্প্লিন্টার কারণে অসহ্য যন্ত্রণায় তার রাত কাটে আর গরম এলে চুলকানিতে শরীর দিয়ে রক্ত ঝরে। চিকিৎসার জন্য ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে তিনি সহায় সম্বল হারিয়েছেন। পরিবার নিয়ে অনেক দুঃখে কষ্টে দিন কাটছে তারা।

ঘটনার দিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২২ জন এবং আহত হন কয়েকশ। এদিন ভৈরবের আওয়ামী লীগ কর্মী নাজিম উদ্দিন প্রিয় নেত্রী আইভি রহমানের ওপর গ্রেনেড পড়লে তাকে বাচাঁতে এগিয়ে যান। এসময় একটু আগালেই নিজের শরীরের পা ও বুকে গ্রেনেড পড়ে তিনিও গুরুতর আহত হন। পরে লোকজন তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতায় আমাকেসহ কয়েকজন আহতকে ভারতের পিয়ারলেস হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে আমার দুইবার অপারেশন হয়েছে। তারপর কিছুটা সুস্থ হলে চিকিৎসক বলেছিল শরীরে থাকা স্প্রিন্টার সরাতে আবারও অপারেশন করতে হবে। কিন্ত টাকার অভাবে আজও তৃতীয় অপারেশন করাতে পারিনি। তবে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করাসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।’

এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ ঘটনার বিচারের রায় হয়েছে। কিন্তু রায়ে ঘটনায় জড়িতদের কঠোর বিচার হলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি। এ রায় বহাল রেখে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।’