বিপজ্জনক ১৩ ভাইরাস, তাণ্ডব চালিয়েছে পুরো বিশ্বে
নোয়াখালী সমাচার
প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২১

গেল বছর ২০২০ সালে বিশ্ব এক নতুন অভিজ্ঞতা পেয়েছে। ঘরবন্দি থেকেছে কোটি কোটি মানুষ। এক ভাইরাস চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের প্রতিটি কোণায়। সংক্রমণ রোধে মানুষ বেছে নিয়েছে বন্দি জীবন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক মহামারি হয়েছে যা কেড়ে নিয়েছে হাজারো মানুষের প্রাণ। তবে সবচেয়ে ভয়ানক ছিল ব্ল্যাক ডেথ বা কালো মৃত্যু। মানবসভ্যতার ইতিহাসে এই ব্ল্যাক ডেথ বীভৎস, অমানবিক ও কালো ইতিহাস বহন করছে। কারণ এর মতো আলোচিত মহামারি আর কখনো হয়নি।
এই ভাইরাসের কবলে পড়ে পৃথিবীব্যাপি ১৩৪৬ থেকে ১৩৫৩ সালের মধ্যে ইউরোপ এবং এশিয়া মহাদেশের (ইউরেশিয়া) ৭৫ থেকে ২০০ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এক অংশের মতে, রোগটি ছিল একপ্রকার গ্রন্থিপ্রদাহজনিত প্লেগ। অন্য অংশের দাবি এই ভয়ানক মহামারি ঘটেছিল ইবোলা ভাইরাসের কারণে। ইঁদুর ছিল এই রোগের প্রধান জীবাণুবাহী।
ধারণা করা হয়, বাদুড় থেকেই করোনার উৎপত্তি
তবে বর্তমানে আমারা আবারো সম্মুখীন হয়েছি করোনার মতো ভয়ানক ভাইরাসের। যার উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহর। যা ছড়িয়ে পড়ছে সারাবিশ্বে। করোনাভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপি মহামারি রূপ নিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পৃথিবীতে যুগে যুগে অসংখ্য মহামারির ঘটনা ঘটেছে, মৃত্যু হয়েছে কোটি কোটি মানুষের। ইতিহাসে এর আগে যেসব রোগ মহামারি রূপ নিয়েছিল সেগুলো নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে ১৩টি বিপজ্জনক ভাইরাস সম্পর্কে-
ইবোলা
ইবোলা ভাইরাসে মারা যায় কঙ্গো, আইভোরি কোস্ট সহ আফ্রিকার অনেক মানুষ
১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। মার্বুগ ভাইরাসের সঙ্গে এ ভাইরাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যা ১৯৬৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। উভয় ভাইরাসই ফিলোভিরিডায়ে পরিবারের সঙ্গে জড়িত ও মানবদেহে রোগ সংক্রমণের জন্য দায়ী। ইবোলা ভাইরাসের পাঁচটি ভিন্ন নাম রয়েছে - ইবোলা-জায়ারে, ইবোলা-সুদান, ইবোলা-আইভোরি কোস্ট, ইবোলা-রেস্টন এবং ইবোলা-বুন্দিবুগিও। এ নামকরণগুলো ছড়িয়ে পড়া এলাকার নামানুসারে হয়েছে।
ভয়ংকর এই ইবোলাভাইরাসে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের মতো। ২০১৪ ও ২০১৬ সালের মধ্য আফ্রিকায় বড় প্রাদুর্ভাবে অন্তত ১১ হাজার মানুষ মারা গেছে। ইবোলা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুই অবধারিত। এই অসুখের ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার হয়নি এখন পর্যন্ত।
তবে একটা ভালো খবর হলো খুব সংক্রামক নয় এটি। ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না। লক্ষণগুলো ধরা পড়ে ভাইরাস সংক্রমণের দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর, যেগুলো হল জ্বর, গলা ব্যথা, পেশীর ব্যথা, এবং মাথা ধরা। সাধারণত এর পর গা গোলানো, বমি, এবং ডাইরিয়া হয়, সঙ্গে লিভার ও কিডনীর কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। এই জায়গাতে এসে কিছু মানুষের রক্তপাতজনিত সমস্যা শুরু হয়।
ডিজিজ এক্স বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পৃথিবীব্যাপী মহামারি ঘটাতে পারে এমন অসুখের তালিকায় নতুন রহস্যময় অসুখ 'ডিজিজ এক্স' এর নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। ডিজিজ এক্স শুনে অপরিচিত মনে হতে পারে। এটি কোনো রোগের নামও নয়। তালিকায় থাকা এই নামের ব্যাপারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ডিজিজ এক্স হলো এমন কোনো রোগ যা মানবজাতির কাছে এখনো অজানা, কিন্তু তা আন্তর্জাতিকভাবে মহামারির রূপ নিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, একটা অজানা রোগে পৃথিবীজুড়ে ব্যাপক মহামারি দেখা দিতে পারে বলে আমরা অনুমান করছি এটা বুঝাতেই 'ডিজিজ এক্স' সম্ভাব্য মহামারির তালিকায় যোগ করা হয়েছে।
লাসা
দুরের প্রস্রাব দ্বারা দূষিত খাদ্য এবং ইঁদুরের স্পর্শ করা খাবার থেকে ছড়ায় এই ভাইরাস
লাসা জ্বর সংক্রমিত চর্বি, ইঁদুরের প্রস্রাব দ্বারা দূষিত খাদ্য এবং ইঁদুরের স্পর্শ করা খাবার থেকে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে জ্বরের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং চোখে ও নাকে সংক্রমণ হতে পারে। লাসা জ্বরটি পশ্চিম আফ্রিকা বিশেষ করে নাইজেরিয়াতেই বেশি দেখা যায়। দেশটির লাসা শহরে এ রোগটি প্রথম দেখা দিয়েছিল ১৯৬৯ সালে।
জিকা ভাইরাস
মশার মাধ্যমে দ্রুত এ ভাইরাসটি ছড়ায়। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে এমন কোনো রোগীকে এডিস মশা কামড়ানোর মধ্য দিয়ে এর স্থানান্তর হয়। পরে ওই মশাটি অন্য ব্যক্তিদের কামড় দিলে তা ছড়াতে থাকে।
এরপর ওই ব্যক্তিদের মাধ্যমেই ভাইরাসটির বিস্তার ঘটতে থাকে। তবে যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে পারে। উগান্ডার জিকা ফরেস্ট এলাকায় বানরের মধ্যে ১৯৪৭ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়। তবে আফ্রিকা ও এশিয়ায় এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। রিফট ভ্যালি ফিভার (আরভিএফ) মশা বা রক্ত খেয়ে থাকে এমন পতঙ্গ থেকে এই ভাইরাসের সূচনা হয় যা গরু বা ভেড়াকে আক্রান্ত করে থাকে। কিন্তু এটিও পরে মানব শরীরে সংক্রমিত হতে পারে।
বেশি আক্রান্ত হলে মানুষের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। মূলত আক্রান্ত পশু থেকে এটি মানুষের শরীরে আসে। এমনকি আক্রান্ত গরু বা ভেড়ার দুধ থেকেও এটি সংক্রমিত হতে পারে। ১৯৩১ সালে কেনিয়ার রিফট ভ্যালিতে প্রথম এ ভাইরাসটি চিহ্নিত হয়।
মার্স ভাইরাস
এই ভাইরাসের উৎপত্তিও চীনে
এটি সার্সের একই গোত্রীয় একটি ভাইরাস। ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে আক্রান্তদের ৩৫শতাংশ মারা গেছেন। এই রোগের নাম দেয়া হয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে মার্স। সৌদি আরব ছাড়াও এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ওমান, আরব আমিরাত, মিসর ইত্যাদি মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কটি দেশে।
ধারণা করা হচ্ছে, মানবদেহে এই ভাইরাস এসেছে উট থেকে। কাতার, ওমান, সৌদি আরব ও মিসরে উটের রক্তেও মার্স ভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া সৌদি আরবে বাদুড়ের রক্তেও পাওয়া গেছে এই ভাইরাস। মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাস ছড়িয়েছে হাঁচি, কাশি, নিকট অবস্থান ইত্যাদি থেকে।
সার্স ভাইরাস
খাটাশ জাতীয় বিড়াল থেকে ভাইরাসটি এসেছে
সার্স অর্থাৎ সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন খাটাশ জাতীয় বিড়াল থেকে ভাইরাসটি এসেছে। তবে এটিও বাদুরের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দু'বার এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আট হাজারের বেশি আক্রান্তের মধ্যে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তবে ২০০৪ সালের পর থেকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
মারবুর্গ ভাইরাস
ইবোলার মতোই বন্য বাদুড় থেকে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়ায়
এটি প্রায় ইবোলার কাছাকাছি একটি ভাইরাস। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারে। ইবোলার মতোই এর উৎস হিসেবে বাদুড়কেই ভাবা হয়। এতে আক্রান্ত হলে আট থেকে নয় দিনের মধ্যেই কারও মৃত্যু হতে পারে। জার্মান শহর মারবুর্গের নামে এর নামকরণের কারণ হলো ১৯৬৭ সালে এখানে প্রথম ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। পরে তা ফ্রাঙ্কফুর্ট ও সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডেও ছড়িয়ে পড়ে।
সিসিএইচএফ ক্রাইমিয়ান কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার বা সিসিএইচএফ এক ধরনের এঁটেল পোকা (টিকস পতঙ্গ) থেকে ছড়ায়, যা মানুষের মধ্যে বড় প্রাদুর্ভাবের কারণ হতে পারে। এতে মৃত্যু হার ৪০ শতাংশ। ক্রাইমিয়াতে ১৯৪৪ সালে প্রথম ও পরে কঙ্গোতে এটি চিহ্নিত হয়। ভাইরাসটি পুরো আফ্রিকা, বলকান অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার কিছু এলাকায় পাওয়া যেতে পারে।
এই রোগে হঠাৎ করেই কেউ আক্রান্ত হতে পারে যার লক্ষণ মাথাব্যথা,বেশি জ্বর, মেরুদণ্ড ব্যথা, পাকস্থলীতে ব্যথা ও বমি। হেনিপেভিরাল রোগ হেনড্রা ভাইরাস প্রথম চিহ্নিত হয় অস্ট্রেলিয়ায়। এটাও বাদুড় থেকেই থেকেই হয় এবং ঘোড়া ও মানুষ ভয়াবহ আক্রান্ত হতে পারে।
১৯৯৪ সালে ব্রিসবেনের একটি শহরতলীতে এটির প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এরপর থেকে অন্তত ৭০টি ঘোড়া এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আর আক্রান্ত সাত জনের মধ্যে চার জন মারা গেছে।
নিপাহ ভাইরাস
মালয়েশিয়ায় শূকরের মধ্যে প্রথম এ রোগ চিহ্নিত হয়
নিপাহ ভাইরাস বাদুড় থেকে পশুপাখি ও মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। জ্বর, বমি কিংবা মাথাব্যথা এ রোগের লক্ষণ। মানুষ কিংবা পশুপাখি কারো জন্যই কোনো প্রতিষেধক এখনো বের হয়নি। এ রোগে মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ। ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ায় শূকরের মধ্যে প্রথম এ রোগ চিহ্নিত হওয়ার পর সেখানকার কৃষি শহর নিপাহ'র নামে ভাইরাসটির নামকরণ হয়েছে। পশুপাখি থেকে প্রায় তিনশ মানুষের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে যার মধ্যে অন্তত একশ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এইচআইভি ভাইরাস
পুরো বিশ্বে তাণ্ডব চালানো এক অন্যতম ভাইরাস এইচআইভি
এই ভাইরাস মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, ফলে নানা সংক্রামক রোগ ও কয়েক রকম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রোগী মৃত্যু মুখে ঢলে পড়ে। এইচআইভি ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর অনাক্রম্যতা কমতে কমতে এইডস ঘটাবার মতো অবস্থায় পৌঁছতে অনেক বছর লাগে।
তবে শরীরে এই ভাইরাস একবার সংক্রমিত হলে তা কমানো সম্ভব হলেও সম্পূর্ণ দূর করা এখনো সম্ভব হয়নি, তাই শেষ পর্ষন্ত সেই রোগীর এইডস হওয়া বন্ধ করা সম্ভব নয়।
তবে বিশ্বের খুব অল্প সংখ্যক অঞ্চলের কিছু লোকেদের শরীরে কিছু জিনে খুঁত থাকে, যার ফলে এইডস ভাইরাস তাদের শরীরে সফলভাবে সংক্রমণ করতে পারে না।
গুটিবসন্ত
৩০০ বছর আগে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অনেক মানুষ
গুটিবসন্ত বা স্মল পক্স ভ্যারিওলা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতো এবং এটি অত্যন্ত মারাত্মক এক ব্যাধি ছিল। মানবদেহে প্রথমে এক ধরনের গুটি বের হয় যা পরবর্তী সময়ে তিল বা দাগ, কুড়ি, ফোস্কা, পুঁজবটিকা এবং খোসা বা আবরণ ইত্যাদি পর্যায়ের মাধ্যমে দেহে লক্ষণ প্রকাশ করে।
গুটিবসন্তের টিকা আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৭৯৬ সালে। অথচ টিকা আবিষ্কারের প্রায় ২০০ বছর পরও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে ভারতে। ১৯৭০ সালে লক্ষাধিক মানুষ রাতারাতি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
পরবর্তী কয়েক বছরে ভারত সরকার এবং জাতিসংঘের সহায়তায় গঠিত একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালেই ভারতকে গুটিবসন্ত মুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হয়।
ইনফ্লুয়েঞ্জা
জবর, ঠাণ্ডা, কাশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অর্থোমিক্সোভিরিডি ফ্যামিলির একটি ভাইরাস, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য দায়ী। বিভিন্ন সময়ে এটা লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সাল সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই মহামারিকে তখন নাম দেয়া হয় ‘‘স্প্যানিশ ফ্লু’’। এটি ‘দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক’ নামেও পরিচিত। গ্রিক বিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস প্রথম ২৪,০০ বছর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন।
এরপর বিশ্বব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা ঘটিত নানা মহামারি ঘটার প্রমাণ রয়েছে। মাত্র এক বছরেই ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক কেড়ে নেয় কোটির বেশি মানুষের প্রাণ! সে সময় দেশে দেশে সরকার সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানের জন্য আইন পাস করে, দীর্ঘদিনের জন্য বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়।
পোলিও
পোলিওতে অনেক শিশুকেই পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে
পোলিওমাইলিটিজ এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। সচরাচর এটি পোলিও নামেই সর্বাধিক পরিচিত। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি এ ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হন। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িক কিংবা স্থায়ীভাবে শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হন ও তার অঙ্গ অবশ বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
১৯১৬ সালে পোলিও রোগ প্রথম মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সে বছর নিউইয়র্কে ৯ হাজার মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে ৬ হাজার মানুষই মৃত্যুবরণ করে! নিউইয়র্ক শহর থেকে ক্রমে পোলিওর প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছর বিশ্বে কত শত মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তার কোনো সঠিক তথ্যও পাওয়া যায় না। অবশেষে ১৯৫০ সালে জোনাস সাল্ক পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন।
ডেঙ্গু
এডিস মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু
গত বছরে এশিয়ার কয়েকটি দেশে এডিস মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। ফিলিপাইনে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ মানুষ মারা গেছে। বাংলাদেশের মতো থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু।
একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মম-লীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়।
উপসর্গগুলোর মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষয়ী রূপ নিতে পারে।
করোনা
২০১৯ সালের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মারা গেছেন প্রায় ৩০ লাখ
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ঘিরে ক্রমেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যে ভারইরাসটি প্রায় সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাসের থাবায় লাফিয়ে লাফিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ভাইরাসটিকে পরীক্ষা করে মনে করা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের উৎস হতে পারে বাদুড় ও সাপ।
বেইজিংয়ের ‘চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স’ এমনই মনে করছে। আক্রান্তদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ফুলে যাওয়া কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে সার্স আক্রান্তদের মতোই। তাই করোনাভাইরাস থেকে সারাবিশ্বকে বাঁচাতে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্বই এই ভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়।
- দেশে করোনা বিষয়ে সচেতনতা ও টিকাদানে সহায়তা করবে ফেসবুক
- সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলতে বিশিষ্ট নাগরিকদের আহ্বান
- পর্যায়ক্রমে দেশের সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে: প্রধানমন্ত্রী
- চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা
- করোনায় আক্রান্ত হলে কতদিন পর টিকা নিতে পারবেন
- নিত্যপণ্য পরিবহনে সহায়তায় মন্ত্রণালয়ের হটলাইন চালু
- লকডাউনে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক খুলতে নির্দেশ
- জেলেদের জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ
- আগামীকাল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে যাচ্ছে দেশ
- দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু কমেছে
- গেইলের যে রেকর্ড এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে!
- সেই মৃত শানু বেগম এখন জীবিত
- বেগমগঞ্জে ট্রাক্টর চাপায় হেলপারের মৃত্যু
- রমজানে বেঁধে দেওয়া হলো ৬ পণ্যের দাম
- চীনা ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার পাচ্ছে বাংলাদেশ
- এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ
- টিকা কিনতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৪৩৩০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি
- বিপসট পরিদর্শন করলেন বিদেশি সামরিক কর্মকর্তারা
- সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার
- লকডাউনে চলাচল করতে ‘মুভমেন্ট পাস’ নেবেন যেভাবে
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়ল দেশ
- এটিএম বুথ থেকে তোলা যাবে এক লাখ টাকা
- লকডাউনে খাদ্য সহায়তা পাবে সোয়া কোটি দরিদ্র পরিবার
- মুহুরি নদীতে ধরা পড়লো ২২ কেজি ওজনের বোয়াল
- মিরাজের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন নোয়াখালীর ডিসি
- মাস্ক নিতে অস্বীকৃতি, যুবককে মারধর
- মসজিদে তারাবিসহ সব নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন
- `বিশ্বশান্তি সুসংহত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ`
- কঠোর লকডাউন: সরকারের ১৩ দফার বিধিনিষেধে যা আছে
- ভুয়া কাবিননামা তৈরির চেষ্টা করছে মামুনুল হক: কাজী অফিসে নজরদারি
- মাইকিং করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৭০
- YADB কুমিল্লা শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন
- মুজিব শতবর্ষে জোড়া মাথার যমজ শিশু রাবেয়া-রোকেয়ার গৃহে প্রত্যাবর্ত
- মোদি নয় সরকারকে বিপদে ফেলতে হেফাজতের তাণ্ডব
- এসএসসির ফরম পূরণ করবেন যেভাবে
- করোনায় একদিনে আরো ১৮ জনের মৃত্যু
- বাবুনগরী-মামুনুল হকের ষড়যন্ত্র ফাঁস :ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- করোনার সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত, বেশি ঝুঁকিতে ২৯ জেলা
- ছাদে বাগান করলে হোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ ছাড়
- ল্যাব নয়, প্রাণী থেকেই করোনার উৎপত্তি : ডাব্লিউএইচও
- প্রবাসী প্রেমিকের কোটি টাকা মেরে খেলেন ‘লাইকি গার্ল’ ফৌজিয়া
- হানি সিংয়ের গানে দুর্দান্ত নাচ নিয়া শর্মার, ভাইরাল ভিডিও
- মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা কাল, যেসব নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি
- ফখরুল বাদ, নেতৃত্বে আসছে রুহুল কবির রিজভী
- ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, যা জানালো আবহাওয়া অফিস
- মাস্ক বিক্রি করেই লাখপতি রাশেদা
- হিমছড়ি সৈকতে আবারো ভেসে এলো বিশাল তিমি
- ঈদুল ফিতরে এক কোটির বেশি পরিবারকে টাকা দেবে সরকার
- পাঁচদিনে সারাদেশে বাড়তে পারে তাপমাত্রা