ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মৃত্যুতে চীনকে ছাড়ালো স্পেন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২০  

মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর দিক দিয়ে ইতালির পর এবার ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনও অতিক্রম করলো চীনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে নতুন করে মারা গেছেন ৭৩৮ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। যেখানে চীনে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ৩২৮১ জন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার একদিনে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আগের দিনের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২০ গুণ।

কোভিড-১৯ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মারা গেছে ১৯ হাজার ৭৪৪ জন। এরমধ্যে ৬ হাজার ৮২০ জন মৃত্যু নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ইতালি। আর ৩ হাজার ৪৩৪ জন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে স্পেন এবং ৩ হাজার ২৮১ জন নিয়ে তৃতীয় স্থানে চীন।

স্পেনের সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মাদ্রিদ ও এর আশেপাশের অঞ্চল। দেশটিতে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশ ঘটনা এই অঞ্চলেই ঘটেছে। এছাড়া দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রচুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ স্পেন এখন কার্যত মৃত্যুপুরী। পর্যটক শূন্য পুরো দেশ। কোথাও নেই কোলাহল। ফার্মেসি ও সুপার মার্কেট ছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।

পুরো দেশ ‘রেড জোন’ এর মধ্যে রয়েছে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। গত রোববার সরকার সবকিছু বন্ধের সময় বাড়িয়েছে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। এ পরিস্থিতি দেশের পুরো কাঠামো ভেঙে পড়ার উপক্রম। অর্থনৈতিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। এক অনিশ্চিত সঙ্কটের দিকে এগোচ্ছে স্পেন।

সবার মতো স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও রয়েছেন আতঙ্কের মধ্যে। পরিসংখ্যান বলছে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে ১০শতাংশই স্বাস্থ্যকর্মী। গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ফেরনান্দো সাইমন বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৭৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্কটের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতেও রোগীদের জায়গা করে দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মাদ্রিদের হাসপাতালগুলোতে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আইসিইউতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। যদিও সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সরকারের অধীনে নেয়া  হয়েছে। এরইমধ্যে স্পেনের সবচেয়ে বড় সম্মেলনকেন্দ্র ‘ফেরিয়া দে মাদ্রিদ’এর ইফেমা-কে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অস্থায়ী হাসপাতাল করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

স্পেনে মারাত্মক স্বাস্থ্যকর্মী সঙ্কটের ফলে সরকার মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী এমনকি অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদেরও নিয়োগ দিচ্ছে।

দেশটিতে চলমান ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা আরো ১৫ দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই যেন হার মানছে না করোনা ভাইরাস। এ মহামারি থেকে কখন মিলবে মুক্তি? এমন প্রশ্ন আর চলমান হতাশার মধ্যেই দিন পার করতে হচ্ছে সবাইকে।