উন্নয়ন নাকি সন্ত্রাসবাদ?
নোয়াখালী সমাচার
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের এক অপরূপ লীলাভূমি বাংলাদেশ। দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন বাংলাদেশকে দিয়েছে অপরূপ মহিমা। বাংলাদেশ আজ এক অর্থনৈতিক চমকের দেশ। বিপুল জনগোষ্ঠী নিয়েও দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজেকে উদীয়মান বাঘ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলেছে।
নির্মাণাধীন মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও উৎক্ষেপিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চলমান উন্নয়নের প্রমাণ দেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এদেশে সকল ধর্মের নাগরিকেরা সমান অধিকার ভোগ করেন। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের নাগরিকগণ অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি যথেষ্ঠ সহমর্মিতা লালন করেন। এ আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য।
আল কায়দা নামক একটি জঙ্গি সংগঠন আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলা করে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় চলে আসে। আল কায়দার অনুসরণে উদ্ভব হয় ‘আইএস’ নামক নতুন এক জঙ্গী সংগঠনের। চরম উগ্রপন্থী এ সংগঠনটি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কার্যক্রম চালাতে থাকে।
এদিকে আফগানিস্থানকে ধ্বংস করার পরে, আল কায়দা পাকিস্তানের সহায়তায় ভারতীয় উপমাহাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। ভারতের মুম্বাইতে তারা চালায় ভয়াবহ এক হামলা।
ঠিক এ সময়েই বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় এক নতুন হুমকির। হরকাতুল জিহাদ-উল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি) মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো হুজি’র ব্যানারে বাংলাদেশে একের পর এক আক্রমণ চালায়। ১০০ নিরীহ মানুষকে মেরে ও অসংখ্য বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে হুজি তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।
ধর্মের নামে ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত একের পর এক হামলা প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশ। বিএনপি-জামায়াতের সরাসরি সহায়তায় জঙ্গি গোষ্ঠীটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস ও এর নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যায় তৎপর হয়। এ লক্ষ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তারা আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ বোমা হামলা চালায়।
শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আরেক নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দেয় বাংলাদেশের জন্য। বাংলাভাই ও তার অনুসারীদের সিরিজ বোমা হামলা ও নির্যাতনের চিত্র বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও আইনের শাসনকে করে প্রশ্নের সম্মুখীন।
পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই সন্ত্রাসবাদকে ‘না’ বলে। জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট থাকা দলটি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঘোষণা করে যুদ্ধ।
তবে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদানের স্বভাব অপরিবর্তিত রাখে। ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের ব্যানারে ন্যাক্কারজনক বোমা হামলা ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বিশ্ববাসী। বিএনপি-জামায়াতের আগুনে পুড়ে মারা যান ৪৯৬ জন মানুষ, আহত হন অসংখ্য।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ আবারও প্রত্যক্ষ করে ধর্মের মোড়কে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদ। অস্ত্রধারী কিছু সন্ত্রাসী এবছর আক্রমণ চালায় ঢাকার হলি আর্টিজেনে।
আশকোনা হামলা ও সিলেটের আতিয়া মহলে হামলাও হতে পারে উগ্রবাদের বড় উদাহরণ।
উগ্র সন্ত্রাসবাদীরা ব্লগার ও বিদেশী নাগরিকদের হত্যার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে থাকে। এ পরিস্থিতিতেই চলতে থাকে মানবতাবিরোধীদের বিচারকাজ।
সন্ত্রাসবাদ দমন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সরকারের সহযোগিতা ও ধারাবাহিক চেষ্টায় সন্ত্রাসবাদের উত্থান শূণ্যের কোঠায় চলে এসেছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযানে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে শান্তি।
একটি দেশের অব্যাহত উন্নয়নের সুফল জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে এ স্থিতিশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াতের ছায়াতলে ও আন্তর্জাতিক আশ্রয়ে সন্ত্রাসবাদ আজও মদদ পাচ্ছে।তাই, প্রশ্ন একটিই। কাকে বেছে নেবে বাংলাদেশ? উন্নয়ন নাকি সন্ত্রাসবাদ?
- রামগতিতে জলদস্যু প্রধানকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
- নিষেধাজ্ঞায় চাল পায়নি অর্ধেক জেলে পরিবার
- লক্ষ্মীপুরে ৩ হাসপাতালকে দুই লাখ টাকা জরিমানা
- ফেনীতে যুবক খুন: আদালতে জবানবন্দি দিলেন দোকান কর্মচারী
- ফেনীতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয় সভা
- ফেনীতে এলজিইডি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলার অভিযোগ
- ফেনীতে পুলিশের জালে ব্যাংক থেকে টাকা সরানো হ্যাকার চক্র
- বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন?
- দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
- নোয়াখালীতে এক পুকুরে মিলল ৯ কেজি ইলিশ
- ডাকাত সর্দার গিয়াস ধরা পড়লো র্যাবের হাতে
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার ছুঁই ছুঁই
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- চাহিদার চেয়েও ‘উদ্বৃত্ত’চাল, তবু দাম বাড়ছেই
- শাহজালাল বিমানবন্দরে ডলার কারসাজি ও পাচারের শক্তিশালী চক্র সক্রিয়
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেই নববধূকে বই উপহার দিলেন কমলনগর ইউএনও
- ‘বিএনপির আমলে টাকা ছাড়া সরকারি চাকরি হতো না’
- সেই মেহেনাজের পাশে একটিভ ফাউন্ডেশন
- নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
- ফেনীতে চার বছরে তরমুজ চাষ বেড়েছে ৪ গুণ, শত কোটি টাকা বিক্রির আশা
- লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মাদক গ্রহণের ভিডিও প্রকাশ
- লক্ষ্মীপুরে দেনমোহরের টাকা চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার
- লক্ষ্মীপুরে ৯ মাসে কুরআনে হাফেজ ১২ বছরের শিশু শামীম
- নোয়াখালীতে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত
- নোয়াখালীতে সুলভ মূল্যে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি
- ফেনীতে গরুর মাংসের দাম ৮৫০ টাকা নির্ধারণ
- ফেনীতে ৬৬৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি শুরু
- ফেনীতে গরুর মাংস কিনতে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন, কেজি ৬৬৫ টাকা
- মাইক্রোবাসচাপায় আহত সেই কলেজছাত্রীর মৃত্যু, চালক গ্রেফতার
- তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল আবিরের
- নুসরাত হত্যায় বিভাগীয় দায় থেকে অব্যাহতি পেলেন এসপি জাহাঙ্গীর
- নোয়াখালীতে একই দিনে পরীক্ষা-আঙুলের ছাপ, ঘরে বসে মিলছে লাইসেন্স
- সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি
- নোয়াখালীর নিহত ৫ জনের বাড়িতে শোকের মাতম
- নোয়াখালীতে হাজিরা দিতে এসে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী কারাগারে
- ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ পুলিশ ও ১ বিজিবি সদস্যসহ আহত ১৩
- বসতঘরে আগুনে পুড়ে অঙ্গার ঘুমন্ত বৃদ্ধা
- লক্ষ্মীপুরে বাজারের ইফতার খেয়ে একই পরিবারের ৪ জন অচেতন
- বাড়ির রাস্তা কেটে বেড়া, অবরুদ্ধ ৫০ পরিবার
- আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, আহত ৩
- জিম্মি জাহাজ দুই নাবিকের বাড়ি নোয়াখালীতে চলছে আহাজারি
- বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি
- মোবাইলে দৈনিক ৪১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন
- চলতি মাসের এলপি গ্যাসের মূল্য ঘোষণা আজ
- জাহাজসহ জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের সবশেষ অবস্থা জানা গেছে