ব্রেকিং:
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ঈদে মহাসড়কে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ট্রাক চলাচল সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে বরণে হাতিয়ায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

‘ইলিশ রেস্টুরেন্ট’ কুয়াকাটাতেও

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২১  

‘আমাদের এখানে ইলিশ স্পেশাল সাইজ ১৫০ টাকা, ইলিশ নরমাল সাইজ ১০০ টাকা, সরষে ইলিশ স্পেশাল ১৮০ টাকা, ইলিশ ভুনা ১২০ টাকা, ইলিশ কারি ১২০ টাকা, নোনতা ইলিশ ১২০ টাকা, সবজি ইলিশ ১২০ টাকা, ইলিশ ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ইলিশ ফুল ১০০০ টাকার মধ্যে (সাত শ থেকে আট শ গ্রাম ওজন) এবং ইলিশ বারবিকিউ ১০০০ টাকার মধ্যে। মাঝেমধ্যে ওজনভেদে দাম কিছুটা বেশি-কম হয়।’

প্রজেক্ট হিলসার অনেক আগে থেকেই বরিশালের পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ইলিশ মাছের আদলে তৈরি হয়েছে একটি রেস্টুরেন্ট। প্রচুর দর্শনার্থীও যান প্রতিনিয়ত, তবে করোনার জন্য সম্প্রতি কুয়াকাটায় পর্যটকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তালা ঝুলছে ওই ইলিশ রেস্টুরেন্টে।

বিশাল আকৃতির ‘ইলিশ রেস্টুরেন্ট’ কুয়াকাটার ইলিশ পার্কের মধ্যেই। স্বাভাবিক সময়ে সেখানে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি থাকে ইলিশের ২০ আইটেম।

এই ইলিশ রেস্টুরেন্টের মালিক রুমান ইমতিয়াজ তুষারের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।
 

তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুয়াকাটায় দুই বিঘা জমির ওপর ইলিশ পার্ক নির্মাণ করা হয়। এর ভেতরেই গড়ে তোলা হয়েছে ইলিশের আদলে রেস্টুরেন্ট। দৈর্ঘ্য ৭২ ফুট এবং প্রস্থে ১৮ ফুটের এই রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে ৫০ জন বসে খাবার খেতে পারেন। এখানে ২০ রকমের ইলিশ রান্না, ৩০ রকমের ভর্তা আর অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের আইটেম রয়েছে।

‘সামুদ্রিক মাছটা গ্রাহকের চাহিদার ওপর কেনা হয়ে থাকে। পানি ছাড়া কোনো খাদ্য দ্রব্যই আমরা ফ্রিজিং করি না। প্রতিদিন সকালে বাজার করে সব টাটকা খাবার পরিবেশন করা হয়।’

তুষার বলেন, ‘আমাদের এখানে আরও একটু ব্যতিক্রম রয়েছে। কোনো প্লাস্টিক ব্যবহার হয় না আমাদের পার্ক এবং রেস্টুরেন্টে। খাবার পরিবেশন করা হয় মাটির শানকিতে এবং চা বা কফি দেয়া হয় নারিকেলের মালায় করে।

‘ইলিশ রেস্টুরেন্ট’ কুয়াকাটাতেও


‘গলাকাটা দাম আমরা গ্রাহকের কাছ থেকে রাখি না। বাজারদর অনুযায়ী খাদ্যপণ্যের দাম ওঠা-নামা যেমন করে, তেমনিই আমাদের ইলিশ রেস্টুরেন্টে খাদ্যের দাম থাকে।’

ইলিশের মেন্যুর দামের হিসাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ইলিশ স্পেশাল সাইজ ১৫০ টাকা, ইলিশ নরমাল সাইজ ১০০ টাকা, সরষে ইলিশ স্পেশাল ১৮০ টাকা, ইলিশ ভুনা ১২০ টাকা, ইলিশ কারি ১২০ টাকা, নোনতা ইলিশ ১২০ টাকা, সবজি ইলিশ ১২০ টাকা, ইলিশ ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ইলিশ ফুল ১০০০ টাকার মধ্যে (সাত শ থেকে আট শ গ্রাম ওজন) এবং ইলিশ বারবিকিউ ১০০০ টাকার মধ্যে। মাঝেমধ্যে ওজনভেদে দাম কিছুটা বেশি-কম হয়।’

তিনি জানান, ইলিশ পার্কে ইলিশ রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি থাকার জন্য রয়েছে সাতটি কটেজ, যেখানে ৩৫ জন থাকতে পারেন। এ ছাড়া শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন পশুপাখির ভাস্কর্য তৈরি করা রয়েছে।

‘ইলিশ রেস্টুরেন্ট’ কুয়াকাটাতেও


তুষার বলেন, ‘আশপাশের বন থেকে যেসব প্রাণী লোকালয়ে চলে আসে, সেগুলো উদ্ধার করে আমরা চিকিৎসা দিয়ে ইলিশ পার্কে তিন মাস রেখে দিই। এরপর প্রাণীগুলো আবার বনে ছেড়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে মেছোবাঘ থেকে শুরু করে নানা প্রাণী ছিল ইলিশ পার্কে। বর্তমানে একটি সজারু এবং একটি বানর রয়েছে।’

‘ইলিশ রেস্টুরেন্ট’ কুয়াকাটাতেও


ইলিশ পার্ক এলাকায় কনসার্ট পুরোপুরি নিষিদ্ধ, যারা এখানে রাত্রিযাপন করেন তাদের জন্য রাতে বসে বাউল গানের আসর।

তুষার বলেন, ‘নিরিবিলি পরিবেশ বিবেচনা করেই এই ইলিশ পার্ক তৈরি করা হয়েছে। আমাদের ইলিশ রেস্টুরেন্ট দেখতেই মূলত বেশি মানুষ এখানে আসেন।